-
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ২৫ শতাংশ পরিশোধ করতে হয়, মাঝপথে দিতে হয় আরও ৫০ শতাংশ, বাকি ২৫ শতাংশ টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার দ্রুততম সময়ের মধ্যে। কিন্তু এবার এই নিয়ম পালন করছে না কোনো দলই। দুর্বার রাজশাহী, চিটাগাং কিংস, কয়েকজন ক্রিকেটারকে এক টাকাও পরিশোধ করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
রাজশাহীর চেক একাধিকবার বাউন্স হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিদেশী খেলোয়াড়দের বিদ্রোহের মুখে এক ম্যাচে তো কেবল দেশী ক্রিকেটারদের নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছিল। খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের কাছে বিষয়টা একদমই ভালো মনে হচ্ছে না। টাইগার ক্রিকেটে সময়ের অন্যতমসেরা এ তারকা জানিয়েছেন, দিন শেষে টাকার জন্যই খেলেন তারা।
‘অবশ্যই এটা খারাপ লাগছে। দিনশেষে আমরা খেলোয়াড়রা ক্রিকেট খেলি তো টাকার জন্য। পারিশ্রমিক যদি না পাই, প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য এটা খারাপ। যেহেতু ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আমাদের অভিভাবক, আশা করি তারা এটা নিয়ে কথা বলবেন এবং আমাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলবেন সবার সঙ্গে, যারা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক আছেন। কোনো সমস্যা হলে বোর্ড হয়তো সমাধান দেবে।’
বুধবার মিরপুরে অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন মিরাজ।’ দেশের সার্বিক অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, প্রত্যেকটি মানুষেরই সাপোর্ট করা উচিত। নতুন একটা পরিবেশ যদি আসে, এটা একটু কঠিন হয়। এবার একটু ভিন্ন হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়, প্রত্যেকটি মানুষের পাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যে সমস্যাগুলো হচ্ছে, আমাদের ক্রিকেট বোর্ডে যারা আছেন, যারা দায়িত্বে আছেন, আশা করি এটা সুন্দরভাবে সামলাবেন।
আমরা যদি ঠিকঠাকভাবে এই জিনিসগুলো সামলাতে না পারি, ঠিকভাবে যদি কাজে লাগাতে না পারি, তাহলে দিনশেষে আমাদের ক্রিকেটের বদনাম হবে। আমাদের সবারই বদনাম হবে। আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব এটা, বাংলাদেশ ক্রিকেটের যেন বদনাম না হয়।’
পারিশ্রমিক নিয়ে খুলনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এখনো পর্যন্ত নেই, ‘আমাদের দলে এর মধ্যেই ৪০ শতাংশ পেমেন্ট করে দিয়েছে। ইকবাল ভাইয়ের (কর্ণধার) সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। তিনি বলেছেন, এই সপ্তাহে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ দিয়ে দেবেন। প্রায় ৭০ শতাংশ আমরা পেয়ে যাব।’