ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১

দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে বরিশাল

মোঃ মামুন রশীদ

প্রকাশিত: ০১:০৭, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে বরিশাল

.

৯ দিন আগে রংপুর রাইডার্স টানা আট ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লে-অফ। রবিবার দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। এদিন মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছে তারা। আগে ব্যাট করে সিলেট ১৮.১ ওভারে ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় ফাহিম আশরাফের বিধ্বংসী বোলিংয়ে। ৫ উইকেট নেন তিনি মাত্র ৭ রান দিয়ে। জবাবে ১৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১২০ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় বরিশাল। এর ফলে নবম ম্যাচে সপ্তম জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত দ্বিতীয় স্থানে থেকেই শেষ চারে উঠেছে বরিশাল। তবে সিলেট দশম ম্যাচে অষ্টম হারে ছিটকেই পড়েছে, কিন্তু কাগজ-কলমের সূক্ষ্ম হিসাবে এখন পর্যন্ত টিকে আছে ক্ষীণ আশা।
টস জিতে সিলেট আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু প্রথম থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। মাত্র ৪৬ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে সিলেট। ততক্ষণে অষ্টম ওভারের ৪ বল হয়ে গেছে। অর্থাৎ রানরেটও বাড়াতে পারেনি তারা। ষষ্ঠ উইকেটে আহসান ভাট্টি ও জাকের আলী অনিক কিছুটা চেষ্টা চালিয়েছেন বিপদ কাটিয়ে ওঠার। কিন্তু ২৯ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ২৮ রান করে বিদায় নেন আহসান। ১৪তম ওভারে জাকেরও ১৯ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি সিলেট ফাহিমের পেস তোপে। আরিফুল হক ১৩ বলে ১ চারে ১২, তানজিম হাসান সাকিব ৮ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ১৪ রান করেছেন। শেষ পর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতেই সিলেটের ইনিংস থামে ১১৬ রানে। ফাহিম ৩.১ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। স্বীকৃত টি২০ ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয়বার ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন এ পাকিস্তানি পেস অলরাউন্ডার। ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি ও জেমস ফুলার। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন ২ ওভারে ২৪ রান খরচা করলেও একটি উইকেট নেন। ফাহিম ১৫টি এবং নবি ১৪টি ডট বল করেছেন। চলতি বিপিএলে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য।  
জবাব দিতে নেমে প্রথম দুই ওভারেই ১০ রান করে তুলে নিয়ে উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দেয় বরিশাল। কিন্তু তৃতীয় ওভারে ওপেনার তাওহিদ হৃদয় ৭ বলে ১ চারে ৬ রান করে নাহিদুল ইসলামের অফস্পিনে সাজঘরে ফেরেন। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ডেভিড মালানও ৮ বলে ২ চারে ৯ রানে আউট হয়েছেন। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৩৯ রান করতে পেরেছে বরিশাল। এরপর অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দিয়েছেন। তার সঙ্গে আরেক অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও দারুণ ছন্দে ব্যাট চালিয়েছেন। দু’জন অবিচ্ছিন্ন থেকে ৮১ রানের জুটি গড়েছেন তৃতীয় উইকেটে। তারা মাত্র ১০ ওভার ক্রিজে ছিলেন। দুই দলের স্কোর সমান হয়ে যায় একটা সময়, তখনো হাফ সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে তামিম। তিনি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অর্ধশতকের পাশাপাশি দলের জয়ও নিশ্চিত করেন। তামিম ৫১ বলে ৬ চারে ৫২ এবং মুশফিক মাত্র ৩০ বলে ৪ চার, ১ ছয়ে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪ ওভার বাকি থাকতে ২ উইকেটে ১২০ রান তুলে সহজ জয় পায় বরিশাল। এটি টানা পঞ্চম হার সিলেটের এবং প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের রাউন্ড রবিন লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া। প্রথম সাক্ষাতেও মিরপুরে বরিশালের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল সিলেট। এবারও পারল না তারা।

×