তাসকিন আহমেদ
বিপিএলে কম রান নিয়েই অপ্রতিরোধ্য রংপুর রাইডার্সকে তছনছ করে দেবে দুর্বার রাজশাহী। অথচ ম্যাচটিতে নামার আগেই রাজশাহী নিজেরাই ছিলএলো। দলটির ক্রিকেটাররা শুরু থেকেই আছেন পারিশ্রমিক নিয়ে যন্ত্রণায়। সেটির আপাদত সমাধান করেই আসেন মিরপুরের মাঠে। তবে দলটির বিদেশি ক্রিকেটাররা বয়কট করেন রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি। পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতায় খেলেননি তারা। এমন একটা দৃশ্যপটেই কীনা তাসকিন আহমেদ গড়লেন রেকর্ড, জিতে গেল রাজশাহী!
রংপুর যারা এরইমধ্যে পেয়ে গেছে বিপিএলের প্লে-অফের টিকিট তাদের রাজশাহী হারিয়ে দিল ২ রানে। এদিন টস জিতে রংপুর আগে ব্যাট করতে পাঠায় রাজশাহীকে। তারা ৯ উইকেটে ১১৯ রানে আটকে যায়। এরপর জবাব দিতে নেমে আরও অসহায় দেখা গেল রংপুরের ব্যাটারদের। তাড়া করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
যদিও ম্যাচের মাঝামাঝিতে আঁচ করা যায়নি এমনটা হতে যাচ্ছে। কিন্তু তাসকিন আহমেদের দল বল হাতে দেখাল ম্যাজিক। শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারিয়েছে রংপুর। তবে শেষ অব্দি লড়াই করেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। শেষ ওভারে তিন ছক্কা এক চারে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন তিনি। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। তার ব্যাটে ৩১ বলে ৫২ নটআউট।
তাসকিন আহমেদ এদিন পা রাখেন অনন্য উচ্চতায়। নেন ২ উইকেট। তার পথ ধরে চলতি বিপিএলে তার উইকেট দাঁড়াল ২৪টি। এক বিপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন তার। ভাঙলেন সাকিব আল হাসানের রেকর্ড। ২০১৯ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১৫ ম্যাচ খেলে ২৩ উইকেট নেন সাকিব। এবার তাসকিন তাকে টপকে ১১ ম্যাচ খেলেই।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে মিরপুরের উইকেটে বেশ বিপাকেই পড়ে দুর্বার রাজশাহীর ব্যাটাররা। এদিন বিদেশি ছাড়াই নেমেছে দলটি। বিদেশি ক্রিকেটারদের কেউই আসেননি মাঠে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দল একাদশে কমপক্ষে দুজন বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়া খেলতে নামতে পারবে না। যদিও যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে এ নিয়ম শিথিলযোগ্য। ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাঠে নামে রাজশাহী।
বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটি প্লেয়িং কন্ডিশনের ১.২.৮ ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর নেমে ব্যাট হাতে তেমন বড় স্কোর গড়তে পারেনি দলটি। অবশ্য মিরপুরের উইকেটে রাতে রান তোলা সহজ ছিল না।
সর্বোচ্চ ২৮* রান করেন সানজামুল ইসলাম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ বলে ১৯ রান করেন আকবর আলী। বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন খুশদিল শাহ। রাকিবুল ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন ২টি করে উইকেট। যদিও ১১৯ রানই শেষ অব্দি বড় হয়ে ওঠে।
শহীদ