.
উয়েফা ইউরোপা লিগে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ইংল্যান্ডের দুই বড় ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং টটেনহ্যাম হটস্পার। নিজেদের মাঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২-১ গোলে নাটকীয়ভাবে হারিয়েছে রেঞ্জার্সকে। আরেক ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পার পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর ৩-২ ব্যবধানে পরাজিত করে স্বাগতিক হোফেনহেইমকে। এদিকে ল্যাজিও ৩-১ গোলে রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে উয়েফা ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খুব বাজে সময় অতিক্রম করছে। গত রবিবার ব্রাইটনের কাছে হারের পর ক্লাবটির কোচ রোবেন আমোরিম তো সাফ জানিয়ে দেন যে, এই ক্লাবটা তাদের ইতিহাসেরই সবচেয়ে বাজে! তবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জয়ে ফিরেছে রেড ডেভিলরা। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত সময়ে ব্রুনো ফার্নান্দেজের সৌজন্যে রেঞ্জার্সের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে ম্যানইউ। যদিওবা ঘাম ঝরেছে জয় পেতে। কেননা, দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের কর্নারে রেঞ্জার্সের গোলরক্ষক জ্যাক বাটল্যান্ডের আত্মঘাতী গোলে প্রথম এগিয়ে যায় স্বাগতিক শিবির। কিন্তু ৮৮ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়ারের ভুলে ডেসার্স গোল করলে সমতায় ফিরে রেঞ্জার্স। তখন মনে হচ্ছিল, আবারও হতাশার ড্রই সঙ্গী হতে যাচ্ছে ম্যানইউর। তবে যোগ করা সময়ের ৯২ মিনিটে লিসান্দ্রো মার্টিনেজের ক্রসে ব্রুনো ফার্নান্দেজের নিখুঁত শটে ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আমোরিমের দল।
জয়ের পর খুশি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ। আমোরিম বলেন, ‘আমরা ড্রয়ের যোগ্য ছিলাম না। ম্যাচটা আমাদের জেতারই কথা ছিল। খেলায় আমরা বেশ ভালো শুরু করেছিলাম। বলের দখল ভালো ছিল, কিন্তু কিছু বাজে পাস আর প্রতিপক্ষের কিছু আক্রমণে কয়েক মিনিটের জন্য নিয়ন্ত্রণ হারাই। তবে শেষ পর্যন্ত আমাদের জয়টাই প্রাপ্য।’ এই জয়ের পর ইউরোপা লিগের পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে এসেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৭ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ এখন ১৫ পয়েন্ট। ইংল্যান্ডের ক্লাব হিসেবে তারাই এখন সবার উপরে। তাদের পরে রয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে টেবিলের ৬ নম্বরে থাকা স্পার্সদের সংগ্রহে ১৪ পয়েন্ট।
ইনজুরিতে জর্জরিত টটেনহাম হটস্পার বৃহস্পতিবার হোফেনহেইমের মাঠে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে। ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই জেমস ম্যাডিসনের অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় তারা। ২২ মিনিটে সন হিউং-মিন গোল করলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় টটেনহ্যাম। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে এন্টন স্টাচ অবশ্য স্বাগতিকদের হয়ে একটি গোল শোধ করেন।