ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

সুমাইয়াদের বাঁচা-মরার ম্যাচ আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:৩৫, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

সুমাইয়াদের বাঁচা-মরার ম্যাচ আজ

দুই অধিনায়ক বাংলাদেশের সুমাইয়া আক্তার ও স্কটল্যান্ডের নিয়াম মুর

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি২০ বিশ্বকাপে নেপালের বিপক্ষে ৫ উইকেটের প্রত্যাশিত জয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২ উইকেটের হারে সুমাইয়া আক্তারের দল অবশ্য কিছুটা চাপে আছে। কোনো রকম ঝামেলা ছাড়া সুপার সিক্সে উঠতে হলে ডি-গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ স্কটল্যান্ডকে হারাতেই হবে তাদের।

জিতলেই মিলবে সুপার সিক্সের টিকিট। হেরে গেলে পড়তে হবে রান রেটের মার-প্যাঁচে। মালয়েশিয়ার বাঙ্গিতে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটায়। ১৬ দলের আসরে প্রতিটি গ্রুপে আছে চারটি করে দল। যেখান থেকে তিনটি করে দলই পাবে সেরা ছয়ের (মূলত ১২) টিকিট। অর্থাৎ চার গ্রুপ থেকে জায়গা পাওয়া ১২ দলের সুপার সিক্স পর্বকে আবার দুটি ভাগে ভাগ (গ্রুপ-১ ও গ্রুপ ২) করা হয়েছে। সুপার সিক্সের দুটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি করে দল উঠবে সেমিফাইনালে। ফাইনাল আগামী ২ ফেব্রুয়ারি।
২ ম্যাচের দুটিতেই জিতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ডি-গ্রুপ থেকে সুপার সিক্সে এক পা-দিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের মতো একটি করে জয় স্কটল্যান্ডের। পয়েন্ট সমান ২। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে দুইয়ে বাংলাদেশ আজ জিতলেই সুপার সিক্স নিশ্চিত। হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে, তবে সেক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত জয় না পাওয়া নেপালকে তাদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হবে। বাস্তবতা মানলে সেটিই হওয়ার কথা।

কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে সি-গ্রুপে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে নাইজেরিয়া যে চমক দেখিয়েছে, তেমন কিছু ঘটলে তিন দলেরই পয়েন্ট হয়ে যাবে সমান ২। সেক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে রান রেট। ‘দুটি ম্যাচেই আমরা প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারিনি। মাঝে একদিনের বিরিতিতে এ নিয়ে কাজ করেছি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিততেই হবে, এমন ম্যাচে আমরা সেরটা দিতে চাই। জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছি না।’ বলছিলেন অধিনায়ক সুমাইয়া।

উল্লেখ্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯ উইকেটের হারের পর নেপালের বিপক্ষে ১ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় স্কটল্যান্ড। এশিয়া কাপের ফাইনাল, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে গতবারের ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড-বধ, তার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেসহ সর্বোপরি টানা চার জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে পা-রাখা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল টি২০ বিশ্বকাপে ঠিকই জয় দিয়ে মিশন শুরু করে। তবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেপালের বিপক্ষে ৫৩ রান করতেই হারাতে হয়েছিল ৫ উইকেট, খেলতে হয়েছিল ১৩.২ ওভার পর্যন্ত। টাইগ্রেসদের সাঁড়াশি বোলিংয়ে ১৮.২ ওভারে মাত্র ৫২ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল। 
১১ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা জান্নাতুল মাওয়া। ৫ উইকেটের জয়ের পরও তাই ব্যাটিং নিয়ে ছিল অস্বস্তি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে সেটিই সত্যি হয়। ৯১ রানের পুঁজি নিয়েও ২ উইকেটে হারের আক্ষেপে পোড়ে বাংলাদেশের কিশোরীরা। অদম্য অসিদের বাগে পেয়েও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারতে হয় সুমাইয়াদের। ৮ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া জয় পায় মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে। বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে কোচ সারোয়ার ইমরান বলেছিলেন, ‘আমাদের ফিল্ডিং, বোলিং টপ গ্রেডের ধরতে পারেন।

ব্যাটিংটা ভালো, কিন্তু অভিজ্ঞতাটা একটু কম। টি২০ খেলার অভিজ্ঞতা কম, সে হিসেবে ব্যাটিংটাকে একটু পিছিয়ে রাখছি। তারপরও আমরা শেষ দুই মাস অনুশীলন করে একটা অবস্থায় দলকে নিতে পেরেছি। আমি আশাবাদী, আমার দল ভালো করবে।’ দুটি ম্যাচেই সেটি সত্যি হয়েছে। বোলিং ভালো হলেও ব্যাটিংটা মোটেই ভালো হয়নি। মালয়েশিয়ায় গত মাসে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে  ‘বি’ গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচ এবং সুপার ফোরে চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে ফাইনালে উঠে হেরেছিল ভারতের কাছে।

মালয়েশিয়ার কন্ডিশনটা ভালোই জানা। ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে আজ সেটি কাজে লাগানোর সুযোগ সুমাইয়াদের সামনে। অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর এটি। ২০২৩ আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত।

×