.
অবশেষে আরেকটি জয় পেয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি২০ শুরুর আগে থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে সরবে আসা দলটি টানা ৬ ম্যাচ হারের পর একটি জয় পায়। এর পর গত ম্যাচ আবার হারে। সোমবার নিজেদের নবম ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে তারা আরেক বিপর্যস্ত দল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে মাত্র ৬ রানে হারিয়ে। শেষ ওভারে ২৩ রান প্রয়োজন থাকলেও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে ১৬ রান নিতে পেরেছে সিলেট। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে লিটন কুমার দাসের ঝড়ো ৭০ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে ঢাকা। জবাবে রনি তালুকদারের দাপুটে ৬৮ রানের পরও ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৯০ রান করতে সক্ষম হয় সিলেট। প্রথম সাক্ষাতে ৩ উইকেটে হারের প্রতিশোধ নিয়েছে ঢাকা। ঢাকার নবম ম্যাচে দ্বিতীয় জয় আর সিলেটের অষ্টম ম্যাচে এটি ষষ্ঠ হার। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ২ উইকেট নিয়ে নতুন মাইলফলক পেরিয়ে যান। চতুর্থ বোলার হিসেবে বিপিএলে ১০০ উইকেট শিকারের গৌরব দেখিয়েছেন তিনি।
নিজেদের মাঠে কয়েকদিন আগেই ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে চলতি আসরে নিজেদের প্রথম জয় পায় সিলেট। তাই সোমবারও ঢাকার বিপক্ষে আরেকটি জয় পেতে আত্মবিশ^াসী ছিল দলটি। সেই ম্যাচের মতো এদিনও টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা। দলীয় ২৮ রানে তানজিদ হাসান তামিম ১৬ বলে ১ চার, ২ ছয়ে ২২ রানে বিদায় নেন। তখন পর্যন্ত লিটন বেশ ধীরস্থির ছিলেন। তবে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান তুলে ভালো শুরু পায় ঢাকা। কিন্তু সপ্তম ওভারে নামিবিয়ার ব্যাটার জেপি কোটজি (৯) এবং নবম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (৪) সাজঘরে ফেরেন। তাই ৬২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকেই পড়ে ঢাকা। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে লিটন ও সাব্বির রহমান ৩৮ বলে ৪২ এবং পঞ্চম উইকেটে লিটন-থিসারা পেরেরা মাত্র ২৮ বলে ৮১ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়ে ঢাকাকে বড় পুঁজি এনে দেন। শেষ ৩ ওভারে ৫৬ রান তোলার পথে ১৮তম ওভারে আরিফুল হকের বলে ৩ ছক্কায় ২৬ রান নেন তারা। লিটন মাত্র ৪৮ বলে ৪ চার, ৪ ছক্কায় ৭০ এবং থিসারা ১৭ বলে ৩ চার, ৩ ছক্কায় ৩৭ রান করেন।
২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে ঢাকা। সামিউল্লাহ শিনওয়ারি ও টিপু সুলতান ২টি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে দ্রুতগতির শুরু করলেও ৩২ রানের মধ্যেই জর্জ মানসি (৩) ও জাকির হাসান (৮) সাজঘরে ফেরেন। তবে তৃতীয় উইকেটে রনি তালুকদার ও অ্যারন জোন্স ৫৬ বলে ৮০ রানের জুটি গড়ে সিলেটকে জয়ের আশা দেখান। তবে জোন্স ৩২ বলে ৩ চার, ১ ছয়ে ৩৬ রানে বিদায় নেন ১৪তম ওভারে এবং ১৬তম ওভারে ৪৪ বলে ৯ চারে ৬৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন রনিও। এর পর জাকের আলী ১৩ বলে ৫ চারে ২৮ ও আরিফুল ১৩ বলে ২ চার, ৩ ছক্কায় ২৯ রান করলেও জিততে পারেনি সিলেট। কারণ শেষ ওভারে ২৩ রান প্রয়োজন থাকলেও ২ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ ১৬ রান দিয়েছেন মাত্র। আর এতেই মুস্তাফিজ বিপিএল ইতিহাসে চতুর্থ বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট পেরিয়ে গেছেন। ৭৯ ইনিংসে তার উইকেট এখন ১০১টি। সাকিব আল হাসান ১১৩ ইনিংসে ১৪৯ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে। এ ছাড়া মুস্তাফিজের ওপরে আছেন রুবেল হোসেন ৮৯ ইনিংসে ১১০ ও তাসকিন আহমেদ ৮৬ ইনিংসে ১২০ উইকেট নিয়ে। সেদিক থেকে মাত্র তৃতীয় পেসার হিসেবে এবং প্রথম বাঁহাতি পেসার হিসেবে বিপিএলে শত উইকেটের মালিক হয়েছেন মুস্তাফিজ। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯০ রান তুলতে পেরেছে ঢাকা। মুস্তাফিজ ছাড়াও ২ উইকেট নিয়েছেন থিসারা।