.
মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত করলেও নতুন বছরে যেন খেই হারিয়ে ফেলে লিভারপুল। ২০২৫ সালের প্রথম চার ম্যাচে কেবলমাত্র একটিতে জয় পায় আর্নে স্লটের দল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ গত বুধবার নটিংহ্যাম ফরেস্টের সঙ্গেও ১-১ গোলে ড্র করে লিভারপুল। তবে শনিবার জয়ে ফিরেছে অলরেডরা। বদলি নামা ডারউইন নুনেজের জোড়া গোলের সৌজন্যে এদিন লিভারপুল ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে ব্রেন্টফোর্ডকে। শনিবার লিভারপুলের মতো একই ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ফুলহ্যাম এবং ক্রিস্টাল প্যালেস। আরেক ম্যাচে বোর্নমাউথ ৪-১ গোলে হারিয়েছে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে। তবে এদিন নিজেদের মাঠে আর্সেনালকে রুখে দিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। এমিরেটস স্টেডিয়ামে মাইকেল আর্তেতার দল ২-২ গোলে ড্র করে অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে আতিথ্য নেয় লিভারপুল। নিজেদের মাঠে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা অলরেডদের এদিন দারুণভাবেই রুখে দেয় স্বাগতিক শিবির। বিশেষ করে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত যখন ফলাফল গোলশূন্য ড্র তখন পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ার স্বপ্ন দেখছিল ব্রেন্টফোর্ড সমর্থকরা। কিন্তু ম্যাচের যোগ করা সময়েই বদলে যায় চিত্রনাট্য। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানেই স্বাগতিকদের জালে দুইবার বল জড়ান নুনেজ। ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের নিচু ক্রসে কাছ থেকে গোল করেন ডারউইন নুনেজ। তার দুই মিনিট পর কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ তৈরি হলে ধৈর্যের সঙ্গে ব্রেন্টফোর্ডের রক্ষণ ভেদ করে দ্বিতীয় গোলটি করেন লিভারপুলের উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড।
এই জয়ে ২১ ম্যাচ শেষে লিভারপুলের সংগ্রহ ৫৫ পয়েন্ট। অন্যদিকে, ব্রেন্টফোর্ড ১১ নম্বরে অবস্থান করছে। ঘরের মাঠে দারুণ পারফর্ম করে আসা ব্রেন্টফোর্ডের জন্য দিনটা ছিল হতাশার। জিটেক কমিউনিটি স্টেডিয়ামে এবারের মৌসুমে ১২ ম্যাচে ৫২ গোলের দেখা পেলেও, এই ম্যাচে কোনো গোলের সুযোগই তৈরি করতে পারেনি তারা। প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচে ক্লিন শিট রাখতে পারেনি ব্রেন্টফোর্ড।
এদিকে, এমিরেটস স্টেডিয়ামে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে আর্সেনাল শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল। প্রথমার্ধের ৩৫ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির গোলে প্রথম এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মাইকেল আর্তেতার দল। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে কেই হাভার্টজের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিক শিবির। এদিন আর্সেনালের দুটি গোলের অ্যাসিস্ট দাতাই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। ফলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে গানাররা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ আর ৬৮ মিনিটেই দুই গোল করে ম্যাচের দৃশ্য বদলে দেন যথাক্রমে অ্যাস্টন ভিলার দুই তারকা যথাক্রমে ইউরি টিয়েলেমানস এবং ওলি ওয়াটকিনস। এর পরও অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি আর্সেনালের।