ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

পারিশ্রমিক পেয়েই রাজশাহীর দুর্বার জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১৫, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

পারিশ্রমিক পেয়েই রাজশাহীর দুর্বার জয়

সিলেট পর্বে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে রেকর্ড ১৪৯ রানের ব্যবধানে বিপর্যস্ত ঢাকা ক্যাপিটালসের কাছে হেরে যায় দুর্বার রাজশাহী। এমন হারের কারণ জানা যায় পরে। কারণ চট্টগ্রাম পৌঁছেই দু’দিন আগে অনুশীলন বয়কট করে রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অর্ধেক পেরিয়ে যাওয়ার পরও পারিশ্রমিক না পাওয়ার প্রতিবাদে তারা এই পদক্ষেপ নেয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ম্যাচের দিন কিছু পারিশ্রমিক পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। সেজন্যই উজ্জীবিত রাজশাহী আবার দুর্বার হয়ে উঠেছে। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে জয়ের ধারায় ফিরেছে তারা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৪ রান তোলে রাজশাহী। জবাবে ১৭.৩ ওভারে ১১৯ রানেই গুটিয়ে যায় সিলেটের ইনিংস। সপ্তম ম্যাচে এটি রাজশাহীর তৃতীয় জয় আর সমান ম্যাচে সিলেটের পঞ্চম হার। 
টস জিতেই আগে ব্যাটিংয়ে নামে রাজশাহী। প্রথম থেকেই সাবধানী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৩৮ রান তুলেছে তারা। ১৪ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রানে সাজঘরে ফিরেছেন মোহাম্মদ হারিস। এরপর সব ব্যাটারই কিছু অবদান রেখেছেন। তবে কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারার কারণে জুটিও বড় হয়নি। এরপরও দলের রানের গতি ঠিক রেখেছেন সব ব্যাটারই। অষ্টম ওভারে জিশান আলম ১৮ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ২০ রান করে আউট হন। দারুণ খেলতে থাকা অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ২২ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায় ৩২ রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপর রায়ান বার্ল ২৭ বলে ১ চার, ৪ ছক্কায় ৪১, ইয়াসির আলী রাব্বি ১০ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ১৯ এবং আকবর আলী ১৫ বলে ১ চারে অপরাজিত ১৪ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৪ রান করে। রুয়েল মিয়া ৪ ওভারে ৩২ রানে ৩টি এবং নাহিদুল ইসলাম ও নিহাদউজ্জামান ২টি করে উইকেট নেন। 
জবাব দিতে নেমে সিলেট স্ট্রাইকার্স মাত্র ১৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায়। কিন্তু এরপরও বেশ দ্রুতগতিতেই শুরু করে তারা। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৪৫ রান তোলে সিলেট। জাকির হাসান ও জর্জ মানসি তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রান যোগ করে মাত্র ৪৩ বল থেকে। মাত্র ২৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন জাকির। এরপর পারিশ্রমিক নিয়ে অস্থিরতা থাকার মধ্যে রাজশাহী দুই নতুন রিক্রুট ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্ক দেয়াল ও আফগানিস্তানের আফতাব আলমের দারুণ বোলিংয়ে সিলেটকে চেপে ধরে। ২২ বলে ১ চারে ২০ রান করে আফতাবের শিকার হয়ে বিদায় নেন মানসি। এ ছাড়া বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম দারুণ বোলিং করছিলেন। রনি তালুকদার (৪), পল স্টার্লিং (২) ও অ্যারন জোন্স (৫) তার শিকার হয়েছেন। এরপর জাকের আলী অনিক একাই কিছুটা লড়াই করলেও বাকিরা দুই অঙ্কেও পৌঁছুতে পারেননি। সেই জাকেরও ২০ বলে ৩ ছক্কায় ৩১ রানে আফতাবের শিকার হয়েছেন। জাকির, মানসি ও জাকের ব্যতীত আর কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছুতে পারেননি। ৭ জন সাজঘরে ফিরেছেন ৬ রানের মধ্যে। তাই ১৫ বল বাকি থাকতেই ১১৯ রানে গুটিয়ে গেছে সিলেটের ইনিংস। সানজামুল ৪ ওভারে ২৫ রানে ৩টি এবং তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ১৪ রানে, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিপুণ ৩ ওভারে ১৬ রানে ও আফতাব ৩ ওভারে ২৪ রানে ২টি করে উইকেট নেন।

×