ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

অপ্রতিরোধ্য মোহামেডানের টানা ৮ জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০৬, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

অপ্রতিরোধ্য মোহামেডানের টানা ৮ জয়

.

ফেডারেশন কাপে এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে যাদের, সেই দল যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলে দুরন্ত-দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, ব্যাপারটা যেন একেবারেই বিপরীতমুখী। যে দলের কথা বলা হচ্ছে, তারা হচ্ছে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ফুটবল দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শুক্রবার তারা বিপিএল ফুটবলে জয় কুড়িয়ে নিয়েছে ঠিকই। তবে সেটা অনেক ঘাম ঝরিয়ে। মুন্সীগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ১-০ গোলে হারিয়েছে দু’বারের লিগ শিরোপাধারী ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবকে একই ব্যবধানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। এ ছাড়া গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতেছে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। তারা ৪-১ গোলে হারিয়েছে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবকে। 
‘দ্য অরেঞ্জ ব্রিগেড’ খ্যাত ব্রাদার্সের দুর্ভাগ্যÑতারা বেশ ভালো খেলেও হেরেছে এবং ম্যাচের প্রায় শুরুর দিকেই গোল হজম করে হাতে অনেক সময় থাকলেও সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি। তবে হারলেও তারা বেশ ভুগিয়েছে ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’ খ্যাত মোহামেডানকে। দারুণ খেলেছে গোপীবাগের দলটি।  ম্যাচের ১২ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় সর্বাধিক ১৯ বারের লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। জুয়েল মিয়ার পাস ধরে বক্সে ঢুকে সানডে ইমানুয়েল ডান পায়ের চমৎকার শটে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে পরাস্ত করেন এবং সতীর্থদের সঙ্গে মেতে ওঠেন উল্লাসে (১-০)। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্রাদার্স সুযোগ পেয়েছিল সমতায় ফেরার। কিন্তু এক সতীর্থের ক্রসে সুশান্ত ত্রিপুরার হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে হতাশ হয় কমলা জার্সিধারীরা। একটু পর মোহামেডান অধিনায়ক দিয়াবাতের পাসে জুয়েলের শট গোলরক্ষক রানা দারুণভাবে রক্ষা করেন। শেষদিকে এসে ব্রাদার্স গোল করার কাছাকাছি গিয়েও পারেনি। যোগ করা সময়ে  সিকসেনে ফাঁকা জালে বল রাখতে পারেননি। ব্রাদার্স সুযোগ পেয়েও পারেনি হার এড়াতে।
মোহামেডান স্পোর্টিং ৮ ম্যাচের সবটিতে জিতে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বেশ ভালোভাবেই। পক্ষান্তরে ব্রাদার্স সমান ম্যাচে তৃতীয় হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আগের মতোই আছে চারে। টানা ৭ হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো চট্টগ্রাম আবাহনী। চলতি মৌসুমে অনিশ্চিতই ছিল চট্টলার দলটির অংশগ্রহণ। জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করা দলটি প্রিমিয়ার লিগে হেরেই চলছিল। একটি জয়ের আশায় মাঠে গিয়ে প্রতিবারই হেরে ফিরেছে চট্টগ্রামের দলটি। শুক্রবার ময়মনসিংহে সার্ভিসেস সংস্থা পুলিশকে হারিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনী পেয়েছে কাক্সিক্ষত সেই জয়। প্রথম পয়েন্ট ঢুকলো চট্টগ্রাম আবাহনীর শূন্য ঝুলিতে।
প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ৯ মিনিটের মাথায় (৫৪ মিনিটে) চট্টগ্রাম আবাহনীর ফাহিম গোল করেন এবং বাকি সময় ওই গোল ধরে রেখে লিগে প্রথম জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। পুলিশ এফসির সময়টা ভালো যাচ্ছে না। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে কোন জয় নেই তাদের। চারটি হেরে একটি ড্র করেছে মাত্র। এবারের লিগের সবচেয়ে দুর্বল দল চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছেও হেরেছে তারা! ৮ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পাওয়া বন্দরনগরীর দল ও ‘ব্লু পাইরেটস’ খ্যাত চট্টগ্রাম আবাহনীর অবস্থান সবার নিচে (দশম)। ৭ পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে পুলিশ এফসি। 
গাজীপুরে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুল বিধ্বস্ত করে ওয়ান্ডারার্সকে। ইয়ংমেন্স ৮ ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ে ৬ পয়েন্টে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে। ঢাকা ওয়ান্ডারার্স সমান ম্যাচে ষষ্ঠ হারে আগের ৪ পয়েন্টে এক ধাপ নিচে নবম স্থানে নেমেছে।

×