১০ জানুয়ারির ম্যাচের সেরা দর্শক স্বর্ণা দত্তের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন রবিবার সিলেট ও খুলনার মধ্যকার ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় জাকির হাসান
এবার ১১তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি২০ আসরের শুরুটা ভালো যায়নি সিলেট স্ট্রাইকার্সের। তবে নিজেদের মাঠে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। শুক্রবার রাতে ঢাকা ক্যাপিটালসকে হারিয়ে প্রথম জয় পাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স রবিবার আরেকটি জয় তুলে নিয়েছে। এদিন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তারা ৮ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। আগে ব্যাট করে সিলেট নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে।
জবাবে খুলনা ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৭৪ রান করতে সক্ষম হয়। এটি পঞ্চম ম্যাচে সিলেটের দ্বিতীয় জয়। তারা যেমন টানা দুই জয় পেয়েছে, অন্যদিকে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমে টানা দ্বিতীয় হার দেখেছে খুলনা টাইগার্স। তারা নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছিল।
টস জিতে আগে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা। ধীরগতির শুরুর পাশাপাশি তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রাহকিম কর্নওয়াল (৪) দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন। পঞ্চম ওভারে জর্জ মানসিও (২) আউট হয়ে যান। ফলে ১৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে সিলেট। এর পর তৃতীয় উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন রনি তালুকদার ও জাকির হাসান। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ২ উইকেট খুইয়ে মাত্র ২১ রান তোলা সিলেট ১০ ওভারে করে ৬৫ রান।
পরবর্তী ১০ ওভারে খুলনার বোলারদের ওপর তা-ব চালিয়েছে জাকির আর রনি। দু’জনই করেছেন অর্ধশতক। রনি ৪৪ বলে ৫ চার, ২ ছয়ে ৫৬ রান করে বিদায় নিলে ১০৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙ্গে। তবে জাকির শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন। ফলে শেষ ১০ ওভারে আসে ১১৭ রান। আর শেষ ৫ ওভারে আসে ৫৭। জাকির ৪৬ বলে ৩ চার, ৬ ছক্কায় ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া অ্যারন জোন্স করেন ৬ বলে ৩ ছক্কায় ২০ রান। ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৮২ রান তোলে সিলেট। আবু হায়দার রনি ও জিয়াউর রহমান ২টি করে উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ নাইম শেখ (৯ বলে ১১) সাজঘরে ফেরেন। ৬ ওভারে ৪৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা। ইমরুল কায়েস ২ ও দারবিশ রসুলি ১৫ রানে আউট হন। রানের গতি মোটামুটি ভালো থাকলেও ৩ টপঅর্ডারকে হারিয়ে লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে খুলনা।
অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও ১৪ বলে ১৫ এবং দারুণ খেলতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার উইলিয়াম বোসিস্টো ৪০ বলে ৫ চারে ৪৩ রানে বিদায় নেন। তবে এর পর পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ ১৮ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায় ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে খুলনাকে স্বপ্ন দেখান। ওই সময় তানজিম হাসান সাকিব তাকে দারুণ এক স্লোয়ারে ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান। এর পর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১৬ বলে ৩ চার, ১ ছয়ে ২৮ ও আবু হায়দার রনি ৬ বলে ৩ চারে ১৪ রান করলেও তা জয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ট হয়নি। শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৪৭ রানের।
কিন্তু ৩৮ রান করতে পেরেছে খুলনা, হারিয়েছে আরও ৩টি উইকেট। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার তারা শেষ করে ৯ উইকেটে ১৭৪ রান তুলে। ৮ রানের দারুণ জয় পায় সিলেট। ২টি করে উইকেট নেন তানজিম, রুয়েল মিয়া ও রিস টপলি। পঞ্চম ম্যাচে টানা দ্বিতীয় জয় সিলেটের। প্রথম ৩ ম্যাচই হেরে গিয়েছিল তারা। আর খুলনা টানা দুই জয় পাওয়ার পর সিলেটে এসে টানা দুটি পরাজয়ের শিকার হয়েছে। তারা অবশ্য চারটিই ম্যাচ খেলেছে।