শনিবার বিওএ’র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী শনিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেটাকে ‘আবাহনী ক্লাসিকো’ বলা যেতেই পারে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে। যাতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই আবাহনী, অর্থাৎ ঢাকা আবাহনী লিমিটেড এবং চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড।
দুই দলেই কোনো বিদেশী ফুটবলার নেই। তারপরও লড়াইটা একপ্রকার ‘অসম’ই হয়েছে। কেননা বড় জয় কুড়িয়ে নিয়েছে ঢাকার দলটি। ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত ঢাকা আবাহনী জিতেছে ৪-০ গোলে। কোনো প্রতিরোধই করতে পারেনি বন্দরনগরীর দল ও ‘ব্লু পাইরেটস’ খ্যাত চট্টগ্রাম আবাহনী।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ঢাকা আবাহনী ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে উঠে এসেছে। পয়েন্ট টেবিলে এক লাফে তারা উন্নতি করেছে তিন ধাপ। সমান ম্যাচে করুণ অবস্থা চট্টগ্রাম আবাহনীর। শূন্য পয়েন্ট নিয়ে দশ দলের মধ্যে একেবারে তলানিতে রয়েছে তারা। অবনমিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে দলটি। দশ দলের মধ্যে দু’টি দল রেলিগেশন হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রিমিয়ারে আসা ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুল তিন ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্স চার পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে নবম ও অষ্টম স্থানে আছে। মোহামেডান ২১ পয়েন্ট নিয়ে আছে এক নম্বরে। তারা লিগে একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থাকলেও ঢাকা আবাহনী তাদেরকে টেক্কা দিয়েছে অন্য ক্ষেত্রে। সেটি হচ্ছে চলমান লিগে তারাই সবচেয়ে কম গোল হজম করেছে, মাত্র ১টি।
বড় স্কোরলাইনে জিতলেও আবাহনীকে প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৪৩ মিনিট পর্যন্ত। গোলের ‘হালখাতা’ খুললে এর পর নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক গোল হয়েছে। চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণদুর্গ ভেঙে পড়ে ‘তাসের ঘর’-এর মতো।
গত সপ্তাহে ফেডারেশন কাপে মো. ইব্রাহিমের গোলে মোহামেডানকে হারিয়েছিল আবাহনী। চারদিন পর শনিবার লিগ ম্যাচে জোড়া গোল পেয়েছেন ইব্রাহিম। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলের সূচনা করেন।
৫২ মিনিটে এনামুল ইসলাম গাজী ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৬৬ মিনিটে ইব্রাহিমের দ্বিতীয় গোল আবাহনীর জয় নিশ্চিত করে। ম্যাচের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দুই গোলের যোগানদাতা ছিলেন শাহরিয়ার ইমন। ৭১ মিনিটে আসাদুল মোল্লা চতুর্থ গোল করলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মারুফুল হকের শিষ্যরা, ধানম-িপাড়ার ক্লাব ও লিগে ১৭ বারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী।