.
হার দিয়ে শুরু করে দুর্বার রাজশাহী। দ্বিতীয় ম্যাচেই জয় পায় তারা। কিন্তু পরের দুই ম্যাচেই পরাজিত হয়ে বিপর্যস্ত হয় দলটি। অবশেষে সিলেটে এসে জয়ের ধারায় ফিরেছে রাজশাহী। শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তারা ২৮ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। এক সপ্তাহ বিরতি দিয়ে নামা খুলনার মাত্র তৃতীয় ম্যাচ এটি, সেই ম্যাচে চলতি আসরের প্রথম হার দেখেছে তারা। আগে ব্যাট করে দুর্বার রাজশাহী ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান তোলে। জবাবে ১৯.৩ ওভারে খুলনার ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৫০ রানে। এর মাধ্যমে পঞ্চম ম্যাচে মাত্র দ্বিতীয় জয় পেয়ে ৪ পয়েন্ট অর্জন করেছে রাজশাহী।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রাজশাহী। ওপেনিং জুটিতে মোহাম্মদ হারিস ও জিশান আলম। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলে তারা। ২০ বলে ৪ চার, ১ ছয়ে ২৭ রান করে বিদায় নেন হারিস। অষ্টম ওভারে এনামুল হক বিজয় ৮ বলে ৭, নবম ওভারে এসএম মেহেরব ৭ বলে ১ চারে ৫ ও দশম ওভারে ২২ বলে ৩ চারে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এতে ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রাজশাহী। এর পর ইয়াসির আলী রাব্বি ও রায়ান বার্ল দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে টেনে তোলেন। পঞ্চম উইকেটে দু’জন মাত্র ৫১ বলে ৮৮ রানের জুটি গড়েন। এতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে তোলে তারা। ২৫ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায় ৪১ রান করে ইয়াসির রাব্বি বোল্ড হন আবু হায়দার রনির পেসে। এর পর আকবর আলী ক্রিজে এসে বার্লকে কোনো সুযোগই দেননি। বাকি ২৩ রানের মধ্যে ২১ রানই আসে আকবরের ব্যাট থেকে ৯ বলে ৩ চার, ১ ছয়ে। বার্ল ২৯ বলে ৭ চার, ১ ছয়ে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ ৫ ওভারে ৫৬ রান যোগ হয়। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় রাজশাহী। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ২ উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে প্রথম থেকেই বেশ চাপে পড়ে খুলনা। রানের গতি বাড়াতে পারেনি তারা জিশান, তাসকিন ও মেহেরবের বোলিংয়ে। ২৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে খুলনা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ৩৪ রান করে তারা। ১০ ওভারে মাত্র ৫৮ রান করতে পেরেছে দলটি। এতেই লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে খুলনা। ১১তম ওভারে ওপেনার নাইম শেখ সাজঘরে ফেরেন ২৮ বলে ২ চার, ১ ছয়ে মাত্র ২৪ রান করেন। এর পর আফিফ হোসেন ধ্রুব দেখেশুনে খেলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে রানের গতি তেমন বাড়াতে পারেননি। সে কারণে চাপ আরও বেড়েছে। আফিফও ৩০ বলে ৩ চার, ১ ছয়ে ৩৩ রানে বিদায় নেন। আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি বলে কার্যকর কোনো জুটিও গড়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত ৩ বল বাকি থাকতেই খুলনার ইনিংস থেমেছে ১৫০ রানে। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১১ বলে ২ ছক্কায় ১৮ ও নাসুম ১৫ বলে ২ চার, ১ ছয়ে ১৮ রান করেন। তাসকিন ৩.৩ ওভারে ৩০, সোহাগ গাজী ৩ ওভারে ২৭ ও বার্ল ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। চলতি বিপিএলে এর আগে মাত্র ২টি ম্যাচ খেলে ৭ দিন পর আবার কোনো ম্যাচ খেলতে নামে খুলনা। আগের দুই ম্যাচ জিতলেও এবার হেরেছে তারা এই লম্বা বিরতির পর নেমে। চিটাগং কিংসকে ৩৭ রানে ও ঢাকা ক্যাপিটালকে ২০ রানে পরাজিত করে খুলনা তাদের আগের দুই ম্যাচে। এখন চলতি বিপিএলে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে থাকল শুধু রংপুর রাইডার্স। সবচেয়ে বেশি ৬ ম্যাচ খেলে সবগুলোই জিতেছে তারা।