.
অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ১১ ম্যাচে জয় পায় ডিয়েগো সিমিওনের দল। তাই শনিবার স্প্যানিশ লা লিগায় বার্সেলোনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগেও ফেভারিটের ট্যাগ গায়ে মাখানো ছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। কেননা, চলতি মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত করলেও হ্যান্সি ফ্লিকের দল হঠাৎ করেই যে খেই হারিয়ে ফেলে। তারই ধারাবাহিকতায় বছরের শেষ ম্যাচেও হেরে গেছে কাতালান ক্লাবটি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে শনিবার ২-১ গোলে হেরে গেছে বার্সেলোনা। শেষ মুহূর্তের গোলে হ্যান্সি ফ্লিকের দলকে হারিয়ে স্প্যানিশ লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানটিও দখল করে নিয়েছে ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।
শুধু তাই নয়? দীর্ঘ ১৮ বছর পর বার্সেলোনার মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এর আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে কাতালানদের মাঠে জয়ের দেখা পেয়েছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি। মাঝে ১৮ ম্যাচে জয়হীন ছিল তারা। যার মধ্যে ৫ ম্যাচে ড্র আর বাকি ১৩ ম্যাচেই হার নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল অ্যাটলেটিকো। এবার বছরের শেষ ম্যাচ জিতে তাই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের উচ্ছ্বাস বেড়ে গেছে বহুগুণে।
যদিওবা নিজেদের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে বার্সেলোনাই আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ম্যাচের বয়স যখন ৩০ মিনিট তখন এগিয়েও গিয়েছিল স্বাগতিক শিবির। বক্সের মধ্যে ঢুকে গাভির সঙ্গে ওয়ান-টু পাসের পর নিচু শটে প্রতিপক্ষের অভিজ্ঞ গোলকিপার জ্যান ওবলাককে পরাস্ত করেন পেদ্রি। স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের গোলেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা। তবে দ্বিতীয়ার্ধেই ম্যাচে ফেরে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ৬০ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে সফরকারীদের সমতায় ফেরান রদ্রিগো ডি পল। এর পর নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর কেউ গোল করতে পারেনি। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ার স্বপ্ন বুনতে শুরু করে দুই দলের সমর্থকরা। কিন্তু না, ম্যাচের নাটকীয়তা যেন তখনো শেষ হয়নি। কেননা, দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটেই যে গোল করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে নাটকীয়ভাবে জয় এনে দেন দলের নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড আলেক্সান্ডার সোরলথ। আর তাতেই স্বাগতিক সমর্থকদের স্তব্ধ করে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে সফরকারী শিবির। দীর্ঘ দেড় যুগ পর প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম জয় বলে কথা।
স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সার দুর্গ জয় করে স্প্যানিশ লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরেও উঠে এসেছে ডিয়েগো সিমিওনের দল। মৌসুমের প্রথম ১৮ ম্যাচ থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৪১। যেখানে ১৯ ম্যাচে বার্সার সংগ্রহে ৩৮ পয়েন্ট। এই হারের পর পয়েন্ট টেবিলের তিনেও নেমে যেতে পারে ইয়ামাল-লেভানডোস্কিরা। কেননা ১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করে রিয়াল মাদ্রিদ। রবিবার রাতেই ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেভিয়ার মুখোমুখি হয় কার্লো আনচেলত্তির দল। সেই ম্যাচে যদি রিয়াল মাদ্রিদ জিতে থাকে তাহলেই টেবিলের দুই নম্বর জায়গাটি দখল করে নেওয়ার কথা টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ফলে বড়দিনের উৎসবে যাওয়ার আগে বার্সার জন্য এটা অনেক বড় হতাশার।