.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ করে ট্রফি নিয়ে দুই ধাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কয়েকজন দেশে ফিরেছেন রবিবার। সকালে সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাস্মদ সালাউদ্দিনসহ জাকের আলী, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ পা রাখেন দেশে। আর বিকেলে টি২০ সিরিজের ট্রফি নিয়ে তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, পারভেজ হোসেন ইমন ও টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবাল আসেন। আজ দুই ধাপে বাকি ক্রিকেটাররা আসবেন। বিদেশী কোচিং স্টাফরা ছুটি নিয়ে যার যার দেশে গেছেন। তবে এই সিরিজ দিয়ে দেশের স্বনামধন্য কোচ সালাউদ্দিনের আবার জাতীয় দলের পক্ষে যাত্রা শুরু হয়েছে। সেই যাত্রাতেই দারুণ সাফল্য পেয়েছে টাইগাররা। দলের ব্যাটিংয়েও উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে। সবাই এর কৃতিত্ব সালাউদ্দিনকেই দিচ্ছেন। কারণ ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন এই সফরে তিনি। কিন্তু সালাউদ্দিন অবশ্য দলের সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন ক্রিকেটারদের ও প্রধান কোচ ফিল সিমন্সকে। তিনি বিমানবন্দরে নেমে আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে আরও ভালো কিছু করবে এই দল।
এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে বাংলাদেশ। ১৫ বছর পর ক্যারিবীয় দ্বীপে টেস্ট জিতেছে টাইগাররা। এরপর ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলেও টি২০ সিরিজে প্রথমবার উইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে প্রতিশোধ নিয়েছে। সবমিলিয়ে এই সফরে ৮টি ম্যাচে ৪টি করে জয়-পরাজয় নিয়ে সফলই হয়েছে টাইগাররা। শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরেছেন শনিবার দুই ধাপে কয়েকজন ক্রিকেটার ও সিনিয়র সহকারী কোচ সালাউদ্দিন। দেশে ফিরে তিনি বলেছেন, রহস্য বলতে কিছু নেই। ছেলেরা দায়িত্ব নিয়ে খেলার অভ্যাস করেছে। বিশেষ করে আমাদের টিম মিটিংয়ে ছেলেরা সংযুক্ত হচ্ছে। ওরা বেশি কথা বলছে। এই জিনিসটা আমাদের খুব দরকার ছিল। তাদের মানসিকতা যেন পরিবর্তন হয় সেদিকে আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল। এজন্য প্রধান কোচ অনেক স্বাধীনতা দিয়েছেন। তারা যেন চিন্তভাবনার পরিবর্তন করতে পারে। ওরা গুছিয়ে উঠছে। তাদের চিন্তাধারার পরিবর্তন আসছে। এ কারণে মনে হচ্ছে তারা একটু একটু সফল হচ্ছে। এগুলো আমরা আরও করতে পারলে সামনে আরও ভালো কিছু হবে। শুধু খেলোয়াড়রাই নয়, প্রধান কোচ সিমন্স স্বাধীনতা দিয়েছেন কোচিং স্টাফদেরও। এ বিষয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন, আমরা যত কথা বলি, প্রধান কোচ যেভাবে চাইবে সেভাবেই দল চলবে। সে আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। যদি না দিত, আমরা কথা বলতে পারতাম না। এখানে সিমন্সের একটা বড় ভূমিকা সে আমাদেরকে ওই স্বাধীনতা দিয়েছে। যারাই আমরা ছিলাম, ব্যাটিং কোচ, বোলিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ সবাই আমরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পেরেছি। আমরা কিভাবে এগিয়ে নিতে পারব সেদিকে আমাদের লক্ষ্য ছিল। প্রধান কোচের দর্শনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।