লিটন দাস
লিটন দাস এর আগে এক টেস্ট, সাত ওয়ানডে ও এক টি২০তে বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে কখনোই স্বচ্ছন্দ ছিলেন না, একবার তো প্রকাশ্যেই অনীহা প্রকাশ করেছিলেন! সেই তিনি এই প্রথম এতটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এটা হয়েছে মুলত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩-০’ ব্যবধানে ইতিহাসগড়া টি২০ সিরিজ জয়ের কারণে।
কিংসটাউনে প্রথম দুই ম্যাচে মাত্র ১৪৭ ও ১২৯ রানের পুজি নিয়েও দারুণ জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা। তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন জাকের আলি অনিক। সিরিজে শীর্ষ পাঁচ উইকেট শিকারির পাঁচজনই বাংলাদেশের। ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা অফস্পিনিং-অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। পেসার তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ৭টি।
৬ উইকেট লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের। সমান ৪টি করে হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান সাকিব। ‘আমাদের বোলাররা এখন জানে কার জন্য কেমন ফিল্ড সাজানো দরকার। তাই আমার কাজটা সহজ। মাঠে আমি হয়তো অনেক সিদ্ধান্ত নেই আমার এতদিন ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা থেকে। বোলাররা যেভাবে তাদের স্কিলের প্রদর্শনী করছে, মাঠে আমার কাজ সহজ হয়ে যায়।’ বলছিলেন লিটন।
নেতৃত্বে আগ্রহের বিষয়টি স্পষ্ট,‘অধিনায়কত্বের বিষয়ে আমি বলব, বিসিবি যদি দেয়, করতে রাজি আছি। এই বিষয়ে দ্বিমত থাকার কোনো কথা না। আমি এটা উপভোগ করছি। বোলাররা যদি খুব ভালো বল করে দেয়, উইকেটের পেছন থেকে আমার জন্য কাজটা খুব সহজ।’
টি২০তে প্রথমবার পুরো সিরিজের অধিনায়কত্ব পেয়ে অবশ্য নেতৃত্বে নজর কাড়েন লিটন। সিরিজে দলকে দারুণভাবে পরিচালনা করেন তিনি, বোলিং পরিবর্তন, মাঠ সাজানো থেকে শুরু করে চাপের সময় দলকে উজ্জীবিত রাখা কিংবা বোলারদের ছোট ছোট পরামর্শ দেওয়া- সব কিছুই ছিল চোখে পড়ার মতো।
চমৎকার অধিনায়কত্বের পরও অবশ্য নিশ্চিত নয়, শুধু এক সিরিজেই থমকে যাবে কিনা লিটনের নেতৃত্বের অধ্যায়। কারণ তার অধিনায়কত্ব কি শান্তর চোটের জন্য নাকি পূর্ণাঙ্গ কোনো মেয়াদে, সেটি স্পষ্ট করা হয়নি বিসিবির পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি ব্যাট হাতেও একদমই ছন্দে নেই লিটন। তিন টি২০তে আউট হয়েছেন ০, ৩ ও ১৪ রানে। তার আগে ওয়ানডেতে ২, ৪ ও ০! পরিস্থিতি যা তাতে নেতৃত্ব তো পরের বিষয় তার একাদশে থাকাই অনিশ্চিত!
শুধু এই সিরিজ নয় অবশ্য, বছরজুড়েই সাদা বলের ক্রিকেটে ছন্দে নেই লিটন। ওয়ানডেতে পাঁচ ম্যাচে তার সংগ্রহ সাকুল্যে ৫ রান! আর টি২০তে ২০ ইনিংসে মাত্র ১৬.২৬ গড় ও ১০০.৬৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেন ৩০৯ রান।
তাহলে কি দলে টিকে থাকতেই অধিনায়ক হতে চান লিটন? এই প্রশ্ন উঠতেই পারে।
মিরাজ/ ইসরাত