বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওভারে জাকের নেন ২৫ রান! বাংলাদেশ পায় ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ। শেষ ৩৩ বলে বাংলাদেশ করে ৭৫ রান! সর্বোচ্চ ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকের আলী। ৬টি ছক্কা ও ৩টি চারে ইনিংসটি সাজান। ফিফটির দেখা পান ৩৬ বলে। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। অথচ তার ইনিংসটি ছিল নাটকীয়তায় ভরা। রানআউটে ফিরে গিয়েছিলেন ড্রেসিংরুমেও। এরপর ফিরে এসে যা করলেন তা ছিল দুর্দান্ত।
এর আগে দারুণ শুরুর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ইমন ২১ বলে ৩৯ রান করেন ওপেনিংয়ে। মাঝে মিরাজ ২৯ রান করেন। এরপর দুই রানআউটে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। তবে জাকেরের ব্যাটে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তানজীমকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ২৭ বলে ফিফটির জুটি। ১৭ রান করেন তানজীম। এরপর রিশাদকে নিয়ে শেষ করে আসেন এই ব্যাটার। সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেফার্ড। খরুচে ছিলেন আলঝারি জোসেফ। ৫৯ রান দেন তিনি!
জাকের ঝড়ে বাংলাদেশের দেড়শ পার
জাকের-তানজীমে বাংলাদেশ দেড়শ পার করে ১৭.৪ ওভারে। দুজনে ১৮তম ওভারে নেন ২০ রান। প্রথম বলে ছক্কায় বল স্টেডিয়াম পার করেন জাকের। জুটির ফিফটি হয় মাত্র ২৭ বলে। ১৯তম ওভারের শেষ বলে শেফার্ডকে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন তানজীম। তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। ক্রিজে জাকের সঙ্গী রিশাদ।
রানআউটে বিদায় শামীম-মেহেদীর
নাটকীয় রানআউট শামীম! ১৫.২ ওভারে ডাবলস নিতে গিয়ে জাকের-শামীম এক প্রান্তেই এসে দাঁড়ান! রানআউট ভেবে জাকের হাঁটতে থাকেন ড্রেসিংরুমের দিকে। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় এক প্রান্তে দুজন এলেও আগে ব্যাট প্লেস করেন জাকের। ড্রেসিং রুম থেকে ফিরে আসেন জাকের, সাজঘরে ফেরেন শামীম। ২ রান করেন তিনি। ক্রিজে এসে ১ বল পর নতুন ব্যাটার মেহেদীও ফেরেন রানআউটে। এবার দ্রুত রান নিতে গিয়ে রানআউট হন মেহেদী। শূন্য রানে ফিরেন তিনি। পরপর ২ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী তানজীম।
বাংলাদেশের শতরানের পর মিরাজের বিদায়
দারুণ শুরুর পর হঠাৎ ছন্দপতন। এরপর মিরাজ-জাকেরের পথচলা শুরু হয়। দুজনের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। মিরাজ থিতু হয়েও লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। চেজকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিরাজ ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ২৯ রান। ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চারের মারে। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী শামীম। মিরাজের আউটের আগে বাংলাদেশ ১২.২ ওভারে শতরান পার করে।
ঝড়ের পর থামলেন ইমন
সৌম্যর ইনজুরি তাকে দলে সুযোগ করে দেয়। সেই সুযোগ যেন কাজে লাগালেন কড়ায়-গণ্ডায়। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এনে দিয়েছেন উড়ন্ত শুরু। অবশেষে ইমন থামলেন ২১ বলে ৩৯ রান করে। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ছিল ইনিংসটি। ক্রিজে মিরাজের সঙ্গী তানজীদ। পাওয়ার প্রেল শেষ বলে বিদায় নেন ইমন। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৪ রান।
বাংলাদেশের দারুণ শুরুর পর আউট লিটন
রান খরায় ভুগছিলেন লিটন। শেষ দুই ম্যাচে ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। শেষ ম্যাচে এসে ভালো শুরু করেন। ভালো কিছুর আভাস দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সঙ্গী ইমনকে দিচ্ছিলেন ভালো সঙ্গ। তবে লিটন বেশিদূর যেতে পারেননি। থামতে হয়েছে ১৪ রানে। ১৩ বলে এই রান করেন তিনি। শেফার্ডকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন এক্সট্রা কাভারে। তার আউটে ভাঙে ২৮ বলে ৪৪ রানের জুটি। ক্রিজে ইমনের সঙ্গী তানজীদ হাসান।
একাদশে এক পরিবর্তন
ইনজুরিতে আঙুল ফেটে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে সৌম্য সরকার। তার পরিবর্তে জায়গা পেয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), শামীম হোসেন, তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, শেখ মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্র্যান্ডন কিং, জনসন চার্লস, নিকোলাস পুরান, জাস্টিন গ্রেভস, রোস্টন চেইস, রভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), রোমারিও শেফার্ড, গুডাকেশ মোটি, আলজারি জোসেফ, জেডেন সিলস, ওবেড ম্যাককয়।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
কিংস্টাউনে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২-০ ব্যবধানে জিতে ইতিমধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এখন সুযোগ ধবলধোলাই করার। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন লিটন দাস।
শহীদ