বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর লেস্টার সিটির মাঠে লাল-সবুজের পতাকা হাতে হামজা চৌধুরী
নানা জল্পনা-কল্পনা আর জটিলতা শেষে প্রতীক্ষার প্রহর ফুরোলো অবশেষে। হামজা চৌধুরী এখন থেকে বাংলাদেশের। মানে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফুটবলার। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তারা গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ‘বাফুফে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছেন।
ফিফার ফুটবল ট্রাইব্যুনালের প্লেয়ার স্ট্যাটাস চেম্বার হামজাকে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণের অনুমতি প্রদান করেছে। এর ফলে হামজা, যিনি ইতোমধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ‘লেস্টার সিটি এফসি এবং ইংল্যান্ডের যুব দলের হয়ে খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন, এখন থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে পারবেন। বাফুফে আশা করে, হামজার অন্তর্ভুক্তি দেশের ফুটবলের নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সাফল্যের সমূহ সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করবে।’
বাফুফের আগে হামজার ক্লাব লেস্টার সিটি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে হামজার একটি ছবি প্রকাশ করে এবং মন্তব্য করে ‘হামজা বাংলাদেশের প্রতি তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করেছেন।’
বাংলাদেশী ফুটবলপ্রেমীদের আক্ষেপÑ সব আনুষ্ঠানিকতা যদি যথাসময়েই শেষ করা যেত, তাহলে গত নভেম্বরেই ঢাকায় মালদ্বীপের বিরুদ্ধে দুটি আন্তর্জাতিক ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে পারতেন হামজা। হামজার জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট তৈরির পর ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্রও পাওয়া গিয়েছিল তখন। কিন্তু ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন পেতেই দেরি হয়। ফিফা হামজার বিষয়ে অতিরিক্ত কিছু ডকুমেন্টস চেয়েছিল।
২৬ বছর বয়সী হামজার মা বাংলাদেশী হলেও বাবা গ্রেনাডিয়ান। তার পরিবারের সদস্যরা সিলেটের বাসিন্দা। ১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর ইংল্যান্ডের লাউগবার্গে জন্ম নেওয়া এ ফুটবলার খেলেন মিডফিল্ডার হিসেবে। তিনি ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলে ডাক পান। ফ্রান্সের মাটিতে একটি টুর্নামেন্টে খেলেন। খেলেন ৭ ম্যাচ। যুব ইউরো বাছাইপর্বের ম্যাচেও অংশ নেই। ইতালিতে হওয়া মূলপর্বেও ছিলেন। এখন তিনি বাংলাদেশের।