ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১

আন্তমহাদেশীয় কাপ জিতে নিজেদের ইতিহাসই নতুন করে লিখল রিয়াল

স্পোর্টস রিপোর্টার 

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আন্তমহাদেশীয় কাপ জিতে নিজেদের ইতিহাসই নতুন করে লিখল রিয়াল

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা রিয়াল মাদ্রিদ

২০২৫ সালে বড় পরিসরে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করবে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা। তাই এবার ক্লাব বিশ্বকাপের আদলে আন্তমহাদেশীয় কাপ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে তারা। ফিফার ছয় কনফেডারেশনের চ্যাম্পিয়ন নিয়ে আয়োজিত এই নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে বুধবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হয় কনক্যাকাপ চ্যাম্পিয়ন পাচুকা। 

আর এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় মেক্সিকোর ক্লাব পাচুকাকে। আর তাতেই ২০২৪ সালে পাঁচ শিরোপা জয়ের অবিস্বরণীয় কীর্তি গড়ে কার্লো আনচেলত্তির দল। যা রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা সাফল্যের বছর। 

এর আগে ২০১৭ সালেও নিজেদের এযাবৎকালের ইতিহাসে প্রথমবার পাঁচ শিরোপা জয়ের বিষ্ময়কর কীর্তি গড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা, ক্লাব বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান সুপার কাপ এবং স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। 

২০২৪ সালে কাতারে আন্তমহাদেশীয় কাপ জয়ের আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা, ইউরোপিয়ান সুপার কাপ এবং স্প্যানিশ সুপার কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ।

রিয়াল মাদ্রিদ চলতি বছর শুরু করেছিল ১৩তম স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতে। জানুয়ারীতে বার্সেলোনাকে সেই ম্যাচে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। মে মাসে চার ম্যাচ হাতে রেখেই স্প্যানিশ লা লিগার ৩৬তম ট্রফি জিতে রিয়াল মাদ্রিদ। ১লা জুন ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের নজীর গড়ে কার্লো আনচেলত্তির দল। 

২০১৭ সালের পর আবারও এক বর্ষপঞ্জিকায় পাঁচ শিরোপা জয়ের রেকর্ড রিয়ালেরএরপর আটালান্টাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার কাপ জিতে তারা। সর্বশেষ বুধবার পাচুকাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে আন্তমহাদেশীয় কাপ তথা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয়ের মাধ্যমে এক বছরে পাঁচ শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। 

কাতারের সেই লুসাইল স্টেডিয়ামে বুধবার আয়োজিত ম্যাচে ফুরফুরে মেজাজেই নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কেননা একদিন আগেই যে ফিফার দ্য  বেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সেরা কোচ হন কার্লো আনচেলত্তি। বর্ষসেরা দলেও মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের জয়জয়কার। যেখানে রিয়ালের ছিলেন ছয় খেলোয়াড়। তাই পাচুকার বিপক্ষে ফেভারিটের ট্যাগ গায়ে মেখেই মাঠে নামে রিয়াল।

কাতারের লুসাইলে ৩৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় মাদ্রিদ। দলের সেরা তিন তারকার সৌজন্যে আসে এই গোল। জুড বেলিংহাম প্রথমে পাস দেন ভিনিসিয়াসকে। আর বাকী কাজটা করেন কিলিয়ান এমবাপে। 

দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দূর পাল্লার এক বাঁকানো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো। ম্যাচের বয়স যখন ৮৩ মিনিট তখন পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়ালের জয়ের ব্যবধানটাকে ৩-০ করে বর্তমান বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তাতেই প্রমাণিত হয় রিয়াল মাদ্রিদ কেন সময়ের সেরা ক্লাব। 

লুসাইল স্টেডিয়াম ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বরের রাতটা বেশ হতাশার ছিল কিলিয়ান এমবাপের জন্য। বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকারে যে আর্জেন্টিনার কাছে হেরেছিল তার দল ফ্রান্স। সেবার কান্নায় মাঠ ছেড়েছিলেন এমবাপে। ঠিক দুই বছর পর এবার সেই একই মাঠে এমবাপের মুখে চ্যাম্পিয়নের হাসি। 

মোস্তফা/এসআর

×