ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

হকিতে ম্যাচ ফি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা

প্রকাশিত: ১১:৩১, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১১:৪৩, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

হকিতে ম্যাচ ফি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা

প্রথমবার যুব হকি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী বাংলাদেশ দলকে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) দেয়া পাঁচ লাখ টাকার পুরস্কারটা সম্মানজনক হয়নি, মন্তব্য হকি কোচ মামুনুর রশীদের। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে অনুর্ধ-১৯ এশিয়া কাপজয়ী ক্রিকেট দলকে ৫০ লাখ টাকা আর হকির বিশ্বকাপ দলকে ২০ লাখ টাকা দেয়াকে বৈষম্যমুলক আচরণ মনে করেন তিনি। আরও মনে করেন পিছিয়ে পড়া হকিকে এগিয়ে নিতে দরকার সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও নির্দেশনা।
স্বপ্ন হয়েছে সত্যি। প্রথমবার হকির কোন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ। দুরন্ত-দুর্বার আমিরুল-রাকিবুলরা। তারাই এনে দিয়েছেন এদেশের হকির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্জনটাকে। ওমানে জুনিয়র এশিয়া কাপে পঞ্চম হয়ে আগামী বছর ডিসেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য যুব হকির বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। ১৯৮৪ সাল থেকে জুনিয়র বিশ্বকাপের বাছাই খেলে আসা লাল-সবুজদের দল ৪০ বছর পর পূর্ণ করতে পেরেছে অধরা স্বপ্ন। অথচ স্বপ্নের সারথীদের সংবর্ধনায় হকি ফেডারেশনের পুরস্কার মাত্র পাঁচ লাখ টাকা! অবমূল্যায়ন করা হয়েছে যুব দলকে, এমনটাই মনে করেন মামুনুর রশীদ।
গত কয়েক বছর ধরেই অচলাবস্থা আর আর্থিক সংকটে ধুঁকছে হকি। পিছিয়ে ক্রিকেট, ফুটবলের চেয়েও। সরকারী পুরস্কারেও হচ্ছে বৈষম্যের শিকার। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অনুর্ধ-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট জয়ী দলকে দিয়েছে ৫০ লাখ টাকা। আর প্রথমবার যুব বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া হকি দলকে দিয়েছে ২০ লাখ টাকা।
স্টিক, বুটসহ হকি'র সরঞ্জাম অনেক ব্যয়বহুল। গোলরক্ষকের প্যাড, গার্ড সেটের দাম নূন্যতম আড়াই লাখ টাকা। নিয়মিত খেলা না থাকায় হকিকে পেশা হিসেবে নিতে পারেন না খেলোয়াড়রা। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে দৈনিক ভাতা একজন দিনমজুরের চেয়েও কম। আর্থিক সংকটে সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের অনেকে বিকেএসপির পাঠ চুকিয়ে জীবিকার তাগিদে যোগ দেন বিভিন্ন বাহিনীতে। তারা দেখতে পারেন না উচ্চশিক্ষার স্বপ্নও। খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করা ও হকিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর জন্য ম্যাচ ফির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন মনে করছেন কোচ মামুন।
যুবাদের সাফল্যে হতাশার অন্ধকার থেকে খানিকটা আলোর মুখ দেখেছে হকি। সুদিন ফেরাতে খেলোয়াড়দের উপযুক্ত মূল্যায়ন ও মাঠে খেলা নিয়মিত করায় ফেডারেশন কর্তাদের উপরেই থাকছে গুরুদায়িত্ব। টনক নড়বে কি তাদের? সেটাই এখন দেখার বিষয়। 

রুমেল খান/জাফরান

×