রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ আফগানাদের
রোমাঞ্চকর শেষ টি২০তে ৩ উইকেটের নাটকীয় জয়ে ২-১এ সিরিজ জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান। হারারেতে ফয়সালার এ ম্যাচে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় রশিদ খানের দল। ৩৭ বলে ৩৪ রান, ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট, সঙ্গে ২ ক্যাচ- দূরন্ত অলরান্ড নৈপুন্যে আফগানদের জয়ের নায়ক আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
ম্যাচ ও সিরিজ হারের ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে টি২০তে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক বনে গেছেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ১০২ ম্যাচে অভিজ্ঞ এ স্পিনারের উইকেট ৭৯টি। পেছনে ফেলেছেন ৭৮ শিকারি রিচার্ড এনগারাভাকে। সেরা পাচে পরের তিনটি স্থানে ব্লেসিং মুজারাবানি, লুক জংওয়ে ও তেন্দাই চাতারার উইকেট যথাক্রমে ৭৭, ৭৬ ও ৬৫।
টসে জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও মুজিব উর রহমানের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। এরপর রশিদ খানের ঘূ্ণির কোন জবাব ছিল না স্বাগতিক ব্যাটারদের।
জিম্বাবুয়ের হয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ব্রায়ান বেনেট ও ডিওন মায়ার্স। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৫ রান যোগ করেন তারা। ব্রায়ান বেনেট ইনিংস সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন। এরপর ২২ বলে ২১ রান করেন ওয়েসলি মাধেভারে। শেষ দিকে তাশিঙ্গা মুসেকিভা (১২) ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার (১৭) ব্যাটিং এর পরও নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
৪ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সফলতম বোলার অধিনায়ক রশিদ খান। দুটি করে উইকেট শিকার করেন নাভিন উল হক, মুজিব ও আজমতউল্লাহ।
লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানিস্তান। একে একে ফিরে যান টপ অর্ডারের চার ব্যাটার। ফলে ৪৪ রানে ৪ উইকেটের দলে পরিণত হয় আফগানরা। এরপর আজমতউল্লাহ ও গুলবাদিন নাইবের ৪৮ রানের জুটিতে ম্যাচ ফেরে সফরকারীরা।
গুলবাদিন (২২) ও আজমতউল্লাহকে (৩৪) ফিরিয়ে টি২০ ৭৯ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের শীর্ষ টি২০ উইকেটশিকারী বোলার হন সিকান্দার রাজা। বাকি কাজটা সারেন মোহাম্মদ নবী। ১৮ বলে অপরাজিত ২৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি। তিন বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটের জয় পায় আফগানিস্তান।
মিরাজ/ শিহাব