ছবি: সংগৃহীত।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তাকে বোলিং নিষিদ্ধ করেছে। এর ফলে, বাংলাদেশের এই তারকা বাঁহাতি স্পিনার এখন থেকে ইসিবি আয়োজিত কোনও প্রতিযোগিতায় বোলিং করতে পারবেন না। তবে, এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে তার বোলিংয়ের ওপর কী প্রভাব ফেলবে? এবং আইসিসির নিয়ম কী বলে?
আইসিসির ১১.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যদি কোনো জাতীয় ক্রিকেট বোর্ড কোনও খেলোয়াড়ের বোলিং নিষিদ্ধ করে এবং তা স্বীকৃত পরীক্ষাগারে বৈধভাবে প্রমাণিত হয়, তবে সেই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও কার্যকর হবে। অর্থাৎ, সাকিবের বোলিং ইসিবি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ায় তার বোলিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবৈধ বলে গণ্য হবে।
তবে, আইসিসির নীতিমালার ১১.৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সাকিবের বোলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার রাখে। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘১১.১ ও ১১.৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে সাসপেন্ড হওয়া সত্ত্বেও খেলোয়াড়কে তার জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় বোলিং চালিয়ে যেতে অনুমতি দিতে পারবে।’
সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের ক্ষেত্রে ইসিবি কর্তৃক করা পরীক্ষায় তার কনুই অনুমোদিত ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকা হয়েছে, তবে কনুইয়ের ঠিক কতটা বাঁকা হয়েছিল তা প্রকাশ করা হয়নি। বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষাটি সাকিব ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইংল্যান্ডের লাফবরো ইউনিভার্সিটির আইসিসি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে দিয়েছিলেন। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ইসিবি তার বোলিং নিষিদ্ধ করেছে।
এদিকে, চলতি বছর সারের হয়ে ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সময় আম্পায়াররা সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, যা পরবর্তীতে এই প্রক্রিয়া শুরু করে। নিষেধাজ্ঞার খবর শোনার পর সাকিব বর্তমানে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে গল মার্ভেলসের হয়ে খেলছেন। গতকাল রাতের ম্যাচে নুয়ারা এলিয়া কিংসের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি ৩ বলে ৬ রান করে আউট হন, যদিও বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।
নুসরাত