আমির জাঙ্গু অভিষেকেই ৮৩ বলে অপরাজিত ১০৪ রানের ইনিংস খেলেছেন
২৭ বছর বয়সে ওয়ানডেতে অভিষেক ক্যাপ পেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেছেন আমির জাঙ্গু। বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ােনডেতে অভিষেক হয়েছে তার। আর সে ম্যাচেই হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। কারণ ৪৬ বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে যা প্রথমবার ঘটেছে সেটিই মনে করে দিয়েছেন তিনি।
অভিষেকে ৮৩ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন। এতেই সুদূর অতীতের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন জাঙ্গু। কিন্তু কে তিনি?
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে তার আগে ওয়ানডেতে অভিষেক সেঞ্চুরি শুধু ছিল ডেসমন্ড হেইন্সের। তিনি ১৯৭৮ সালে সেন্ট জন’স স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেকে করেন ১৩৬ বলে ১৬ চার, ২ ছক্কায় ১৪৮ রান। এছাড়া অভিষেকে আর কোনো ক্যারিবিয়ান ব্যাটারের ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি নেই।
আমির অ্যান্থনি জাঙ্গু ত্রিনিদাদে জন্ম নেওয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটার। চলতি বছর নভেম্বরের আগ পর্যন্তও নিজেকে পরিচিত করতে পারেননি তিনি। কারণ ঘরোয়া আসর কিংবা কোনো পর্যায়েই আলো ছড়াতে পারেননি। কিন্তু গত মাসে সমাপ্ত লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট আসর সুপার ফিফটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তিনি।
সর্বশেষ টানা ৫টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯৬, ৭০*, ১১১ , ৯৩* ও ১৬ রান। সে কারণেই ২৭ বছর বয়সে জাতীয় দলে এসেছেন এবং তিনিই ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৩ বলে ৬ চার, ৪ ছক্কায় ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন ১২৫.৩০ স্ট্রাইক রেটে।
এই ম্যাচে নামার আগে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে ৪৯ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ৯ হাফ সেঞ্চুরি হাঁকাতে পেরেছেন, রান ছিল মাত্র ১৩৯৬। এর মধ্যে এবারই ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জের ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ আসর সুপার ফিফটি কাপে সর্বাধিক ৪৪৬ রান করেছেন ১ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে।
এরপরও তার স্ট্রাইকরেট ৫০ ওভারের স্বীকৃত ম্যাচে ৬৯.৭১ আর ১৩ টি২০-তে ৮০.৫৪। তিনিই বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে ঝড়ো ইনিংস উপহার দিয়েছেন ১২৫.৩০ স্ট্রাইকরেটে। এর কারণ সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্ক ছিল দারুন ব্যাটিং সহায়ক। এছাড়া বাংলাদেশের ফিল্ডাররাও সুযোগ দিয়েছেন তাকে। শুন্য রানেই থামতে পারতেন জাঙ্গু। ওই সময় নিশ্চিত রান আউট থেকে বেঁচে যান তিনি। আবার ৬১ রানে রিশাদ হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান আফিফ তা মিস করাতে।
সেই আমির জাঙ্গুই পরে ঝড় তুলেছেন। ৪৫ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই বাঁহাতি মিডলঅর্ডার সেঞ্চুরি ছুঁতে আরো কম সময় লাগিয়েছেন। ৭৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে শেষ পর্যন্ত ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন জাঙ্গু। তার এমন ব্যাটিংয়ের সুবাদেই ক্যারিবিয়রা বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বাধিক রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়েছে।
মামুন/ রিয়াদ