ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দল এক সপ্তাহের মধ্যে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল। নারী দল ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে গেছে, আর পুরুষ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সব ম্যাচ হেরে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে।
দুঃখজনকভাবে দুই দলই নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে হেরে গেছে, যা দেশের ক্রিকেটে হতাশা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল আয়ারল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পায়। সিলেটে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হারের পর এদিন হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ১২৩ রানে থেমে যায়।
বাংলার বাঘিনীরা শুরুতে কিছু ভালো শট খেললেও মাঝের দিকে নিয়মিত উইকেট হারানোর কারণে তাদের স্কোর কমে যায়। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১২৩ রানে থামার পরও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে একটা সময় জয় থেকে প্রায় ছিটকেই যাচ্ছিল আয়ারল্যান্ড। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচটিতে শেষ হাসি হেসেছে আইরিশ মেয়েরাই।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের জন্য এটি ছিল এ বছরের তৃতীয় হোয়াইটওয়াশ। এর আগেও তারা ভারতের বিপক্ষে (৫-০) এবং অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের বিপক্ষে (৩-০) হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল।
এদিকে, নারী ক্রিকেটের পর পুরুষ দলও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে টানা ১১ জয়ের রেকর্ড নিয়ে মাঠে নামলেও বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। টানা দুই ম্যাচ হারার পর সিরিজ হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। আজ (১৩ ডিসেম্বর) মান বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশ ৩২১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে পারেনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। তবে শেরফান রাদারফোর্ড এবং কিসি কার্টির দৃঢ় ব্যাটিংয়ে তারা ম্যাচে ফেরে। অভিষিক্ত আমির জাঙ্গু দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি তুলে নেন এবং শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয় পায়।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সৌম্য সরকার এবং মেহেদী হাসান মিরাজ দুর্দান্ত ফিফটি করলেও অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৩২১ রানের সংগ্রহে পৌঁছালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফলভাবে টার্গেট চেজ করে টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করে।
মেহেদী কাউসার