সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৯৫ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। রবিবার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে আগে ব্যাট করে ৩ অর্ধশতকে ভর দিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান তোলে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম ৬০ বলে ৬ চার, ৩ ছক্কায় ৬০, মেহেদি হাসান মিরাজ ১০১ বলে ৬ চার, ১ ছয়ে ৭৪ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪৪ বলে ৩ চার, ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৫০ রান করেন।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার দ্রুতগতিতে শুরু করেন। তবে পঞ্চম ওভারে দলীয় ৩৪ রানে বিদায় নেন সৌম্য ১৮ বলে ৩ চারে ১৯ রান করে। এরপর ওয়ানডাউনে নেমে লিটন কুমার দাস মাত্র ২ রানেই বিদায় নেন।
৪৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তানজিদ তামিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ তৃতীয় উইকেটে ৯৭ বল থেকে ৭৯ রানের জুটি গড়েন। ৬০ বলে ৬ চার, ৩ ছক্কায় ৬০ রানে বিদায় নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক হাঁকানো তানজিদ।
চতুর্থ উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব মাত্র ৬২ বলে আরো ৫৪ রানের জুটি গড়লে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। আফিফ ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৮ রানে বিদায় নেন।
ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি পাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজও কিছুক্ষণ পর আউট হয়ে যান। তিনি ১০১ বলে ৬ চার, ১ ছক্কায় ৭৪ রান করেন।
ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর জাকের আলী অনিক ঝড় তোলেন। ফলে শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান। মাহমুদুল্লাহ ক্যারিয়ারের ৩০তম হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ৪৪ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন।
জাকের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে শেষ পর্যন্ত অর্ধশতক পাননি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে তিনি ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৪০ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৪৮ রান করেন।
ষষ্ঠ উইকেটে ৯৬ রানের জুটি হয়েছে দু’জনের মধ্যে মাত্র ৭৪ বলে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
রোমারিও শেফার্ড ৩টি এবং আলজারি জোসেফ ২টি উইকেট নেন। এটি এই ভেন্যুতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০১৮ সালে এই মাঠে ৬ উইকেটে ৩০১ রান করে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৮ রানে।
নাহিদা