ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

এনসিএল টি২০’র ট্রফি উন্মোচন

স্পোর্টস রিপোর্টার 

প্রকাশিত: ২২:০২, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

এনসিএল টি২০’র ট্রফি উন্মোচন

এনসিএলের ট্রফি উন্মোচনে আট দলের অধিনায়কেরা। ছবি: বিসিবি

আগামী ১১ ডিসেম্বর সিলেটে শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএলের) টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। টুর্নামেন্ট চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আট দলের অধিনায়ক এবং বিসিবি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে হল ট্রফি উন্মোচন। 

 

ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছিল ভিন্নমাত্রার আয়োজন। আট দলের অধিনায়কেরা অংশ নেন একটি পাজল গেমে। মঞ্চের পেছনের বোর্ডে বাংলাদেশের মানচিত্রে নিজের বিভাগকে চিহ্নিত করে পাজল সম্পন্ন প্রতি দলের অধিনায়কেরা। শেষে উন্মোচিত হয় সোনালি ট্রফি। তবে ট্রফি উন্মোচনে আট দলের অধিনায়ক ফটোসেশনে অংশ নেন একই রঙের জার্সি পরে।

ট্রফি উন্মোচন শেষে অধিনায়কেরা শিরোপা জয়ের লক্ষ্যের কথা জানান। চট্টগ্রাম বিভাগের অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি বলেন, ‘আমাদের দলে তামিম (ইকবাল) ভাই আছেন। তার অভিজ্ঞতা ও সমর্থনে আমরা ভালো খেলতে পারব। শিরোপা জয়ের লক্ষ্য তো থাকছেই।’

ঢাকা মহানগরের অধিনায়ক নাঈম শেখ বলেন, ‘বিসিবিকে ধন্যবাদ এমন টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য। এতে বিপিএলের আগে দলগুলো ছন্দ পাবে, অনেকে খেলার সুযোগ পাবে। আমাদের লক্ষ্য ভালো ক্রিকেট খেলা।’

ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ফাহিম সিনহা, বিসিবির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং স্পনসর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

 

এক যুগেরও বেশি সময় পরে দেশের ক্রিকেটে ফিরছে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ঘরোয়া এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত ২৩ নভেম্বর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জমকালো এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন করা হয়েছে। এবারের আসরের নাম দেওয়া হয়েছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এনসিএল টি-টোয়েন্টি পাওয়ার্ড বাই ওয়ালটন। 

এই দুই প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে রিমার্ক-হারল্যান গ্রুপ। লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এই টুর্নামেন্টকে ক্রিকেটের মেরুদণ্ড হিসেবে উল্ল্যেখ করেন।  

ময়মনসিংহ বাদে দেশের সাতটি বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোকে নিয়ে এবারের আসর মাঠে গড়াবে আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে। ফাইনাল ম্যাচ হবে ২৪ ডিসেম্বর। ভেন্যু হিসেবে  রাখা হয়েছে সিলেট ও মিরপুরকে। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সেখানকার আউটারে হবে গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো। এরপরে নক-আউট পর্বসহ ফাইনাল ম্যাচ গড়াবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। দীর্ঘদিন পরে দেশীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে এই টুর্নামেন্টকে সচল করতে পেরে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে বিসিবি।

দীর্ঘদিন পরে ফিরে আসা এই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী বিসিবি ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলো। ফারুক আহমেদ ধারাবাহিকতার নিশ্চয়তাও দিয়েছেন। প্রতি বছর বিপিএলের আগে আয়োজন করা হবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। নতুন ক্রিকেটের সূচনা এখান থেকেই হবে বলে তিনি মনে করেন। 

এ দিকে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ভালো করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেকে খেই হারিয়ে ফেলেন। তাদের জন্য বিপিএল একটা মঞ্চ হয়ে আসবে। আর বিপিএলে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপনের মঞ্চ হিসেবে থাকবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি। বিসিবি সভাপতির মতে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি হিসেবে এই টুর্নামেন্ট কাজে লাগবে।

বাংলাদেশের ২০ ওভারের এই ক্রিকেটকে আইসিসি লিস্ট 'এ' ক্রিকেটের মর্যাদা দিয়েছে। পাশাপাশি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট হলেও সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। টেলিভিশনে ১৮ টি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস, অনলাইনে দেখা যাবে সবগুলো ম্যাচ। ভারত থেকে ফ্যানকোড অ্যাপের মাধ্যমে দর্শকরা এই খেলা দেখতে পারবেন।

 

এছাড়া বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে ইউটিউবে খেলা দেখতে পারবেন ভক্তরা। উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে তোলার জন্য সিলেটে ফ্লাড লাইটের আলোয় খেলা আয়োজনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে বিসিবি।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন অভিনেতা আমিন খান ও সিয়াম আহমেদ। ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন আমিন খান এবং রিমার্ক-হারল্যান গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে রয়েছেন সিয়াম।

মিরাজ/তাবিব

×