ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

গর্বিত মিরাজ-তাসকিন-তাইজুল

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:৪১, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

গর্বিত মিরাজ-তাসকিন-তাইজুল

সিরিজসেরার ট্রফি হাতে তাসকিন আহমেদ ও ম্যাচসেরা তাইজুল ইসলাম (ডানে)

১৫ বছর পর আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার এই ফরম্যাটে যাত্রা শুরু করেই মেহেদি হাসান মিরাজ অবিস্মরণীয় এই জয় দেখেছেন। এটিকে ক্যারিয়ারের বড় একটি পাওয়া হিসেবেই দেখছেন তিনি। তবে এই জয়ের পেছনে দলের সবারই অবদান দেখছেন মিরাজ। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পাওয়া জয়ে গর্বিত বোধ করছেন এই অলরাউন্ডার।

তবে ম্যাচটির দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল ইসলাম যেভাবে বোলিং করে ৫ উইকেট শিকার করেছেন এবং উভয় ইনিংসে শেষদিকে ব্যাট হাতে অবদান রেখে হয়েছে ম্যাচ সেরা। তিনি দাবি করেছেন বাংলাদেশের যে স্পিন ও পেস আক্রমণ রয়েছে তা দিয়ে বিশে^র যে কোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম। দুই টেস্টে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছে তাসকিন। তিনি জানিয়েছেন ভবিষ্যতে আরও বড় কিছুই অর্জন করবে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ টেস্টের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এই প্রথম কোনো সিরিজ ড্র করল তারা। অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজে দায়িত্ব পেয়েই মাত দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের মুখ দেখেছেন মিরাজ। তিনি বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছি, এটা অবশ্যই আমার জন্য বড় একটা অর্জন। যেহেতু আমি প্রথম অধিনায়কত্ব করেছি, এটা আমার জন্য বড় একটা পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে।’ দলের এমন অবিস্মরণীয় জয়ের পেছনে মিরাজ সকলের সমান অবদান দেখতে পাচ্ছেন।

এ ছাড়া জয়ের পথে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘জয়ের কৃতিত্ব দিতে চাই সব খেলোয়াড়কে। আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে। কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। সব খেলোয়াড়ের জন্যই অনেক কঠিন ছিল। সবাই মানসিকভাবে এমন ছিল যে, ম্যাচটা জিততে হবে। সবাই চেয়েছিল মন থেকে ম্যাচটা জেতার জন্য। আমি খেলোয়াড়দের একটা কথা বলেছি, এই উইকেটে ইতিবাচক চিন্তা ছাড়া খেললে অনেক কঠিন হবে। যেহেতু আমরা লিড পেয়েছি ১৮ রানের, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি যে এই উইকেটে যদি আমরা ২৫০ রান করতে পারি, আমাদের জন্য ম্যাচটা জেতা সহজ হবে। বার্তাটা এই ছিল যে খেলোয়াড়েরা ইতিবাচক খেলবে।’ 
প্রথম ইনিংসে ১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। ক্যারিয়ারে ১৫তম বার তিনি ৫ উইকেট নিয়েছেন। দেশের বাইরে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে দেশের সেরা বোলিংয়ের নজির গড়েছেন ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। এ ছাড়া প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট নেওয়া তাইজুল ৬৬ বলে ১৬ রান করার পথে সপ্তম উইকেটে ৪১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ বলে ১৪ রান করার পথে ষষ্ঠ উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ ৩৪ রানের জুটি গড়েন। তাই ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি।

ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার এবং দেশের বাইরে প্রথম ম্যাচসেরা হয়ে তাইজুল বলেছেন, ‘আমাদের যে পেস আক্রমণ ও স্পিন আক্রমণ এখন আছে, আমরা কিছুদিন ধরেই খেলে আসছি এবং সবারই ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা অবশ্যই বিশ্বের যে কোনো দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব। বাইরের কন্ডিশনে এসে ম্যাচ জিততে পারাটাও দারুণ ব্যাপার।’ প্রথমবার সিরিজ সেরা হয়েছেন তাসকিন। 
তিনি বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এটা অনেক বড় একটা অর্জন। আমরা টেস্ট সিরিজ ড্র করলাম। আমরা একটু কঠিন সময় পার করছিলাম। পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ জয়ের পর কয়েকটি সিরিজ হারাতে আমরা মানসিকভাবে একটু পিছিয়ে ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আশা করছি, আল্লাহ চাইলে এমন অনেক বড় অর্জন হবে সামনে।’

×