ছবি: সংগৃহীত
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ হার দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে টাইগারদের সামনে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না। জ্যামাইকায় কিংস্টনে পেসারদের দাপট আর তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
ক্যারিবিয়ানদের ১০১ রানে হারিয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল। তাতে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ। ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জয় পেলো বাংলাদেশ দল। সর্বশেষ ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের যত রেকর্ড:
১. প্রথম ইনিংসে ২০০ বা তার চেয়ে কম রানে অলআউট হয়েও এই প্রথম টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৬ সালে মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ২২০ রানে অলআউট হয়েও শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে ১০৮ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
২. বাংলাদেশের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে টেস্টে সিরিজ সেরা হলেন তাসকিন আহমেদ। প্রথমজন রবিউল ইসলাম।
৩. ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের মোট টেস্ট জয়ের সংখ্যা তিন। যা দেশের বাইরে কোনো জায়গায় সর্বোচ্চ। পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে দুটি করে।
৪. দেশের বাইরে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলিং এখন তাইজুল ইসলামের। জ্যামাইকায় ৫০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি। আগের সেরা মাহমুদউল্লাহর, ২০০৯ সালে সেন্ট ভিনসেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫/৫১।
৫. এই সিরিজে বাংলাদেশের পেসাররা পেয়েছেন ২৫ উইকেট। যা কোনো টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশি পেসারদের জন্য সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। এর আগে দুবার এক সিরিজে সর্বোচ্চ ২১ উইকেট পেয়েছিলেন পেসাররা।
৬. টেস্টে রানের হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয় এটি। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের টেস্ট জয় ছিল ২০০৯ সালে সেন্ট ভিনসেন্টে। সেবার ৯৫ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
তাবিব
