বিতর্কিত সোহাগের অপসারণ চেয়ে মানবন্ধন
কজন অখেলোয়াড় ও অসংগঠককে বসানো হয়েছে জাতীয় খেলা কাবাডির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে। ক্রিকেট বোর্ড থেকে বিতাড়িত সেই এসএম নেওয়াজ সোহাগের অপসারণ চাই’, কথাগুলো বলেন জাতীয় কাবাডি দলের সাবেক খেলোয়াড় আবু ছালেহ মুসা। মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারের সামনে ‘দুর্নীতিবাজ সোহাগ হটাও, জাতীয় খেলা কাবাডি বাঁচাও’- ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় কাবাডি দলের সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠকরা।
মুসা যোগ করেন, ‘এক সময় এশিয়ান গেমস ও দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে নিয়মিত পদক জিততো বাংলাদেশ। কিন্তু ২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে পুরুষ দল এবং ২০১৮ জাকার্তা এশিয়ান গেমসে মেয়ে কাবাডি দল পদক হারিয়ে ফেলে। যা আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত ছয় বছরে এশিয়ান গেমসে পদক পুনরুদ্ধারের বদলে ঘরোয়া কাবাডিকে জাঁকজমক করাই ছিল বিগত কমিটির লক্ষ্য। সে লক্ষ্যের পালে হওয়া দিয়ে ব্যবসা করেছেন বর্তমান এ্যাডহক কমিটি সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ। গত আট বছরে কাবাডি ফেডারেশন থেকে টুর্নামেন্টের নাম করে তুলে নিয়ে গেছেন কোটি কোটি টাকা! যার অডিট হিসেব দিতে পারেনি বলে আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে বরাদ্দ স্থগিত করা হয়েছে।’
কাবাডি সংগঠক দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘২০১১-১২ সালে বিল-ভাউচারে অসঙ্গতি থাকায় বিসিবি থেকে বিতাড়িত হওয়া সোহাগ পুলিশের কমিটি কাবাডি ফেডারেশনে আসায় সুযোগ বুঝে কাবাডিতে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর পুলিশের সাবেক ডিআইজি ও ফ্যাসিবাদ সরকারের ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের দোসর হিসেবে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বনে যান কাবাডি কর্তা। একের পর দুর্নীতিতে জড়াতে থাকেন তিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের দোসর সাবেক পুলিশ কর্তা হাবিবুর রহমানের সহায়তায় বঙ্গবন্ধুর নামে লোক দেখানো আন্তর্জাতিক কাবাডির আয়োজন করে পুকুরচুরির মতো দুর্নীতি করেছেন সোহাগ। এমন লোক থাকলে কাবাডির অবনতি বৈ উন্নতি হবে না কখনই। তাই আমরা জাতীয় খেলা কাবাডি থেকে সোহাগের অপসারণ চাই। নইলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।’
পরে এ বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের কাছে স্মরকলিপি দেন তারা।
রুমেল খান/ফুয়াদ