ন্যূক্যাম্পে বার্সিলোনার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়ের আনন্দ লাস পালমাসের ফুটবলারদের
শুক্রবার ছিল বার্সিলোনার গৌরবময় ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বর্ণিল আয়োজনে উৎমুখর ছিল কাতালান ক্লাবটির প্রাঙ্গণ। পরদিনই মাঠের ফুটবলে বড় লজ্জায় ডুবল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ৫৩ বছর পর ঘরের মাঠে লাস পালমাসের কাছে হারল হ্যান্সি ফ্লিকের দল। পুরো ম্যাচে আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য করে বার্সিলোনা। বেশ কয়েকটি দারুণ সেভে কাতালান দলটিকে হতাশ করেন তাদেরই সাবেক গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন। খেলার ধারার বিপরীতে দুই গোল করে ভুলে যাওয়ার স্বাদ পায় পালমাস শিবির। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শনিবার লা লিগার ম্যাচটিতে ২-১ গোলে হারে বার্সিলোনা। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে লিগ ম্যাচে পালমাসের কাছে হারল এফসি বার্সিলোনা। সেবার তাদের মাঠে একই ব্যবধানে জিতেছিল পালমাস।
ওই জয়ের পর এবারের আগে বার্সার মাঠে লিগে ২০ ম্যাচের ১৮টিতেই পালমাস হেরেছিল, ড্র হয়েছিল অন্য দুটি। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৪৯ মিনিটে বার্সিলোনার সাবেক ফরোয়ার্ড সান্দ্রো রামিরেসের গোলে এগিয়ে যায় পালমাস। ৬১ মিনিটে চমৎকার ফিনিশিংয়ে রাফিনহা সমতা টানার একটু পরই (৬৭) মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ফাবিও সিলভা। চলতি আসরে এই নিয়ে লিগে টানা তিন ম্যাচে জয়হীন রইল ফ্লিকের দল। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের পর গত রাউন্ডে সেল্তা ভিগোর সঙ্গে তারা ড্র করেছিল ২-২-এ।
এর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্রেস্তের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতলেও ঘরোয়া লিগে ফিরে আরেকটি হারের তেতো স্বাদ পেল তারা। মৌসুমে লামিনে ইয়ামালকে ছাড়া শুরুর একাদশ সাজিয়ে লা লিগায় চার ম্যাচ খেলে একটিতেও জিততে পারল না বার্সিলোনা (৩ হার, ১ ড্র)। এদিন চোট কাটিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা তরুণ এই স্প্যানিশ উইঙ্গার দারুণ কিছু করে দেখাতে পারেননি। ম্যাচে ৭০ শতাংশের বেশি সময় পজিশন ধরে রেখে গোলের জন্য মোট ২৭টি শট নেয় বার্সিলোনা, এর ৮টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে ৫ শটের ৩টি লক্ষ্যে রেখেই বাজিমাত করে পালমাস।