ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

যুব এশিয়া কাপের সেমিতে বাংলাদেশ

মো. মামুন রশীদ

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

যুব এশিয়া কাপের সেমিতে বাংলাদেশ

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেপালি ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়ে উইকেটরক্ষকের সঙ্গে টাইগার যুবা রিজানের উল্লাস

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন যুবা ক্রিকেটাররা। আরব আমিরাতে চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের টানা দুই ম্যাচে জয় নিয়ে তা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সেমি নিশ্চিত হয়েছে তাদের। রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এই গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে  নেপালের যুবারা ৪৫.৪ ওভারে মাত্র ১৪১ রানে গুটিয়ে যায়।

জবাবে বাংলাদেশের যুবারা মাত্র ২৮.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪২ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয়। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৪৫ রানে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারায়। রবিবার শারজায় আফগান যুবারা টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে শ্রীলঙ্কার যুবাদের কাছে। ফলে ‘বি’ গ্রুপ থেকে দুটি করে জয় নিয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে। আর টানা দুই হারে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আফগানিস্তান ও নেপালের। এবার গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মঙ্গলবার দুবাইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশের যুবারা পেসার মারুফ মৃধাকে বিশ্রাম দিয়ে। প্রথম থেকেই বাংলাদেশের যুব পেসাররা নেপালের ব্যাটারদের চাপে রাখেন। ফলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। তবে ওপেনার আকাশ ত্রিপাঠি লড়াই চালিয়ে গেছেন এবং বাকিরা ব্যর্থ হলেও তিনি ৭৭ বলে ৪ চারে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। এছাড়া উত্তম মাগার ৬৯ বলে ২ চারে ২৯ ও অভিষেক তিওয়ারি ৩৫ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ২৯ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট  নেন আল ফাহাদ, রিজন  হোসেন, ইকবাল  হোসেন ইমন। এছাড়া ১টি করে উইকেট  নেন রাফি উজ্জামান রাফি, সা’দ ইসলাম ও আজিজুল হাকিম তামিম।

জবাবে বাংলাদেশের যুবারা মাত্র ২৮.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪২ রান তুলে জয় ছিনিয়ে  নেয়।  জোড়া অর্ধশতক হাঁকান ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম। জাওয়াদ ৬৫ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৯ এবং আজিজুল তামিম ৭২ বলে ২ চার, ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রান করেন। যদিও প্রথম ওভারেই কালাম সিদ্দিকী এলিনের উইকেট হারিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে জাওয়াদ-আজিজুল ৯০ রানের জুটি গড়ে নেপালের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন দলের।

তবে এর পর জাওয়াদ, শিহাব জেমস (১ বলে ০) দ্রুতই ফিরে যান। কিন্তু ফরিদ হাসানের সঙ্গে আজিজুল চতুর্থ উইকেটে আরও ৪৩ রান যোগ করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। ফরিদ ৩০ বলে ১৩ রানে ফিরে গেলেও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন অধিনায়ক আজিজুল তামিম।  নেপালের পক্ষে   লেগস্পিনার যুবরাজ খত্রি ছিলেন দুর্দান্ত। তিনি ৬ ওভার  বোলিং করে ১  মেডেনে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট  নেন। এর পরও ১২৮ বল হাতে  রেখেই জয় ছিনিয়ে  নেয় বাংলাদেশ। 
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৪৫ রানে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারায়। শারজায় আফগান যুবারা টানা দ্বিতীয় ম্যাচে  হেরেছে শ্রীলঙ্কা যুবাদের কাছে। ফলে ‘বি’ গ্রুপ  থেকে দুটি করে জয় নিয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার  সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে। রবিবারই শারজায় হওয়া ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১৩১ রানের বিশাল ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৩ রান  তোলে। শারুজান শানমুগানাথন ১৩২ বলে ৭ চারে ১০২ রান করেন।

এছাড়া পুলিন্দু  পেরেরা ৮০ বলে ৫ চারে করেন ৫৩। ৩ উইকেট  নেন অফস্পিনার  মোহাম্মদ গজনফর। জবাব দিতে  নেমে আফগান যুবারা ২৮.২ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ১১২ রানে। নাজিফউল্লাহ আমীরি ৩৪ বলে ৪ চার, ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। এছাড়া হামজা খান করেন ৬১ বলে ৩ চারে ৩২।  লেগস্পিনার প্রাভিন মনিশা ৩টি এবং নিউটন রনজিথকুমার, ভিরান চামুদিথা ও বিহাস থিউমিকা ২টি করে উইকেট  নেন। টানা দুই হারে গ্রুপ পর্ব  থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আফগানিস্তান ও  নেপালের। এবার গ্রুপ  সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মঙ্গলবার দুবাইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।

×