যুব ওয়ানডে অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।
অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকালেন। শুক্রবার দুবাইয়ে তার ১০৩ রানের দারুন ইনিংসে ভর দিয়ে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট দল জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছে।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের শুভ সূচনা হয়েছে আফগানিস্তান অনুর্ধ-১৯ দলকে ৪৫ রানে হারিয়ে। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৮ রান তোলে। পরে বাংলাদেশী বোলারদের দারুন নৈপুণ্যে আফগানিস্তানের যুবারা ৪৭.৫ ওভারে ১৮৩ রানেই গুটিয়ে যায়।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দল। কিন্তু ওপেনার জাওয়াদ আবরার (০) সাজঘরে ফেরেন প্রথম ওভারেই। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে হাল ধরেন কালাম সিদ্দিকী এলিন ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। উভয়ে অর্ধশতক হাঁকান। কালাম ১১০ বলে ৫ চার, ১ ছয়ে ৬৬ রানে বিদায় নিলে ১৪২ রানের বিশাল জুটি ভাঙ্গে।
দ্বিতীয় উইকেটে এমন বড় জুটিতেই লড়াইয়ে পুঁজি গড়ার ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশের যুবারা। যদিও পরের দিকে ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু অধিনায়ক আজিজুল একাই আফগান বোলারদের হতাশা উপহার দিয়েছেন। তিনি যুব ওয়ানডে অভিষেকেই পেয়ে যান সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের যুব ওয়ানডে ইতিহাসে আজিজুল প্রথম ব্যাটার হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরির গৌরব দেখান। তিনি ১৩৩ বলে ৮ চার, ৪ ছক্কায় ১০৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ৪৭তম ওভারে। তখন দলের রান দুইশ’ পেরিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৮ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দল।
আফগানিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আব্দুল আজিজ, নুরিস্তানী ওমরজাই ও খাতির স্ট্যানিকজাই।
জবাব দিতে নেমে প্রথম থেকেই বাংলাদেশী বোলারদের তোপে রান তুলতে হিমশিম খেয়েছে আফগানিস্তানের ব্যাটাররা। নবম ওভারে দলীয় ২১ রানে উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই মারুফ মৃধার পেসে সাজঘরে ফেরেন ১৯ বলে ৮ রান করে।
এরপর মাহবুব খান ও ফয়সাল খান ৪৫ রানের জুটি গড়ে আফগানদের বিপদ কাটানোর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তারা। রাফি উজ্জামান রাফির বলে ৫৩ বলে মাত্র ১৬ রান করে বিদায় নেন মাহবুব। তৃতীয় উইকেটে ফয়সাল ও নাসির খান ৫০ রানের দারুন এক জুটি গড়েন।
আফগানিস্তান অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট দল তখনও জয়ের আশায় ছিল। কিন্তু ৫৮ বলে ৬ চার, ১ ছয়ে ৫৮ রান করে ফয়সাল সাজঘরে ফেরেন আল ফাহাদের পেসে এলবিডব্লিউ হয়ে। এরপর আর কেউ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
পরের দিকে নাসির খান ৬০ বলে ১ চারে ৩৪, বরকত ইব্রাহিমজাই ৩৮ বলে ১ চারে ১৯ ও নাজিফউল্লাহ আমিরী ১৯ বলে ৩ চারে ১৭ রান করেন। কিন্তু বাকিরা দাঁড়াতেই পারেননি। রান তোলার চাপে শেষ ৬টি উইকেট আফগান যুবারা হারিয়েছে মাত্র ২৪ রানে।
শেষ পর্যন্ত ৪৭.৫ ওভারে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ও আল ফাহাদ ৩টি করে এবং মারুফ ২টি উইকেট নেন।
মামুন/ রিয়াদ