ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ ফলোঅন এড়াতে পারলেও ইনিংস বড় করতে পারেনি, এবং সেটা সম্ভব হয়েছে মূলত জাকের আলি ও মমিনুল হকের দৃঢ় ব্যাটিংয়ের জন্য। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দু'জনই ইনিংস বড় করতে পারেননি।
এর আগে, অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতেই শাহদাত হোসেন দীপু আউট হন, যা বাংলাদেশের জন্য ফলোঅন এ পড়ার আশঙ্কা তৈরি করে।
তবে, জাকের আলি ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে সে শঙ্কা কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান।
তৃতীয় দিনে, মুমিনুল ২৩ বল খেলে ৭ রান করেন এবং দীপু ৩১ বল খেলে ১০ রান সংগ্রহ করেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, দীপু ১১৬ বল খেলে ৫০ রান করে আউট হন। দীপুর বিদায়ের পর, ক্রিজে আসা লিটন দাস এবং মুমিনুল হক নিজেদের কার্যক্রম শক্তভাবে শুরু করেন এবং একটি ভালো জুটি গড়েন। মুমিনুল ৫০ রান করে আউট হন, তার বিদায়ের পর পরই লিটনও ৭৬ বল খেলে ৪০ রান করে ফিরে যান।
এরপর জাকের আলি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ জুটি গড়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মিরাজ ৬৭ বল খেলে ২৩ রান করে আউট হন, যা বাংলাদেশের চাপ বাড়িয়ে দেয়। তবে, পরবর্তী সময়ে জাকের আলি ও তাইজুল ইসলামের মধ্যে ৬৮ রানের একটি জুটি হয়, এবং জাকের ফিফটি তুলে নেন। তবে, ২৩৪ রানে দলীয় স্কোরে, তাইজুল ৬৩ বল খেলে ২৫ রান করে আউট হন।
জাকের আলি, ৫৩ রান করে ফিরে যান, ইনিংস বড় না করতে পারলেও একটি কার্যকরী ভূমিকা রাখেন। এরপর হাসান মাহমুদও ১৬ বল খেলে ৮ রান করে আউট হন। অবশেষে, তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম দিনটি শেষ করেন। তাসকিন ১১ রান এবং শরীফুল ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
নুসরাত