.
উয়েফা নেশন্স লিগে বড় জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড, নরওয়ে এবং ফ্রান্স। ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ৫-০ গোলে পরাজিত করেছে ১০ জনের রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডকে। আরেক ম্যাচে নরওয়েও একই ব্যবধানে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দেয় খর্ব শক্তির দল কাজাখস্তানকে। এই ম্যাচে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ম্যানসিটির নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ড। তবে মহারণে ফ্রান্স ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইতালিকে। এ ছাড়া গ্রিস ২-০ গোলে ফিনল্যান্ডকে হারিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। কিন্তু ফেভারিটদের জয়ের দিনে অঘটনের শিকার হয়েছে বেলজিয়াম। বুদাপেস্টে ইসরাইল ১-০ গোলে হারের লজ্জা উপহার দিয়েছে বেলজিয়ানদের। ৮৬ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেন ইয়ার্দেন শুয়া।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের বেশ ভালোভাবেই রুখে দেয় রিপাবলিক আয়ারল্যান্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধেই জ্বলে উঠে কেন-বেলিংহ্যামরা। ম্যাচের পাঁচটি গোলই ইংল্যান্ড করেছে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রকৃতপক্ষে রেফারির এক সিদ্ধান্তই বদলে দেয় ম্যাচের চিত্র। ৫১ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্কেলস। এরপরই একে একে গোল করেন ইংলিশদের পাঁচ ফুটবলার। স্কোর শিটে নাম লেখান হ্যারি কেন, অ্যান্থনি গর্ডন, কনর গালাঘার, জেরর্ড বাউয়েন ও টেইলর হারউড-বেলিস। এদিন নিজে গোল না পেলেও দুটি অ্যাসিস্ট করেন রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম।
এদিকে আর্লিং হালান্ডের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে নরওয়ে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে তুলনামূলক দুর্বল দল কাজাখস্তানকে। সেইসঙ্গে শেষ আটেও জায়গা করে নেয় তারা। ইতোমধ্যেই নরওয়ের ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছেন আর্লিং হালান্ড। এবার কাজাখস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ২৫তম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ২৪ বছর বয়সী এই তারকা। ম্যাচ শুরুর ২৩ মিনিটেই প্রথম গোল করেন তিনি। এরপর ৩৭ মিনিটে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় আর দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ মিনিটেই পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। ফলে হালান্ডের গোলসংখ্যা এখন ২২টি। নেশন্স লিগের গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচ থেকে সাত গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন হালান্ড।
এদিন বাড়তি নজর ছিল ফ্রান্স-ইতালির ম্যাচেও। তবে মহারণে শেষের হাসিটা হেসেছে ফ্রান্স। দিগনের বানিয়ে দেওয়া বলে এদিন র্যাবিওট একাই করেন দুই গোল। এ ছাড়া দিগনের ফ্রি কিক গুগলিয়েমো ভিকারিওর গায়ে লেগে আত্মঘাতী গোল হয়। ইতালির পক্ষে একটি গোল করেন আন্দ্রে কামবিয়াসো। ৩-১ গোলের জয়ে ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেই গ্রুপ পর্ব শেষ করল ফ্রান্স। পয়েন্ট সমান হলেও হেরে টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে ইতালি।