ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে শিষ্যদের তালিম দিচ্ছেন বাংলাদেশের সহকারী কোচ সালাউদ্দিন
এই মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে তারা। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ১৪ বছর পর আবার যোগ হয়েছেন দেশের স্বনামধন্য কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। একটি বহর নিয়ে তিনি বেশ আগেই ক্যারিবীয় দ্বীপে গেছেন। সেখানে অনুশীলনও করেছেন টেস্ট দলের সদস্যদের নিয়ে। এই সফর থেকে সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু হচ্ছে সালাউদ্দিনের। নতুন করে তার এই যাত্রায় ক্যারিবিয়া সফরের দলটিকে নতুন মনে হচ্ছে তার। কারণ এই দলে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম নেই। তবে এই দলটিকে নিয়ে বেশ আশাবাদী সালাউদ্দিন। তিনি মনে করেন, যারা দলে আছেন তাদের স্বপ্ন বড় এবং সে কারণে তার আশা এই দলটি বেশ ভালো করবে। আর বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দলগতভাবে প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে। অবশ্য রবিবার রাতেই একটি ২ দিনের অনুশীলন ম্যাচে নেমেছে বাংলাদেশ দল। মূল সিরিজের আগে যেটি ভালো প্রস্তুতি হবে বলে আশা সবার।
১৪ বছর আগে যখন বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন ওই সময়ে সাকিব, তামিম, মুশফিকরা সালাউদ্দিনের হাতেই গড়ে উঠেছেন। ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন সালাউদ্দিন। ওই সময়ই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছেন সাকিব, তামিম, মুশফিকরা। এবার ১৪ বছর পর জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ক্যারিবীয় দ্বীপ সফরে এসেছেন সালাউদ্দিন। এবার দলে তার পুরনো সেরা শিষ্যরা নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজেই সর্বশেষবার জাতীয় দলের সঙ্গে সফর করেছিলেন। এবার সেখানেই শুরু। বিষয়টি নিয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘এবার যে স্কোয়াড আছে, মোটামুটি একটা অনভিজ্ঞ দল। তবে সবচেয়ে যেটা ভালো লাগছে যে, ছেলেরা খুব উজ্জীবিত ভালো খেলার জন্য। সবাই সাদা জার্সিটা পরতে চায়। সবার ওয়ার্ক এথিকস দেখে আমার ভালো লাগল। ১৪ বছর পর আমি আবার এলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজে, যেখান থেকে আমি শুরু করেছিলাম কোচিং। তাদের ওয়ার্ক এথিকস দেখে ভালো লাগছে। এই জায়গায় আমার মনে হয় আগের চেয়ে এগিয়ে আছে।’ টেস্টে সম্প্রতি ভালো সময় যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। পাকিস্তান সফরে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর ভারতে এবং দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে বাংলাদেশ। এখন আবার বেশ কয়েকজনের অনুপস্থিতিতে দলের শক্তিও কমেছে। এ বিষয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন,‘এই ছেলেদের স্বপ্নও বড়। তারা বাধ্যবাধকতাটা ভেঙে আরও উপরে উঠতে চায়। আশা করি তারা খুব ভালো করবে। টেস্ট জাতি হিসেবে ভালো করব।’
দীর্ঘ এক ভ্রমণ করে ক্রিকেটাররা ক্যারিবীয় দ্বীপে এসেছেন। ১১ ক্রিকেটার আগে আসলেও বাকিরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলে যোগ দিয়েছেন। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল বলেছেন,‘আমাদের দীর্ঘ এক ভ্রমণ ছিল। এখানে এসে আমরা দলের অনুশীলনে হালকা ম্যাচ খেলেছি। পরদিন স্কিল অনুশীলন ছিল। সুযোগ-সুবিধা এখানে খুব ভালো। দলগতভাবে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হচ্ছি।’ রবিবার অ্যান্টিগায় ২ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। সেটি টেস্ট সিরিজের আগে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই আশা ক্রিকেটারদের। ১০টি টেস্ট সিরিজ হয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে। ৫ বারই ওয়েস্ট ইন্ডিজে মাটিতে হয়েছে, ৪ বার হয়েছে বাংলাদেশে। এবার ষষ্ঠবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করছে বাংলাদেশ টেস্ট দল।