বিপিএলের দল রংপুর রাইডার্সের স্পিন বোলিং কোচ মোহাম্মদ রফিক
কোচিং ক্যারিয়ারে ১৪/১৫ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন মোহাম্মদ রফিক। কিন্তু বাংলাদেশের জার্সিতে ৩৩ টেস্টে ১০০ ও ১২৫ ওয়ানডেতে ১২৫ উইকেট শিকার করা বাঁহাতি এই সাবেক স্পিনারকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কাজে লাগায়নি। দেশের কোচরা জাতীয় দলে অবহেলিতই থেকেছেন। বিসিবি থেকে কাজের প্রস্তাব না পেয়ে বরাবরের মতো এবারও আক্ষেপ ঝরেছে রফিকের কণ্ঠে। তবে সম্প্রতিই ১৪ বছর পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হয়েছেন দেশের স্বনামধন্য কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তাই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন রফিক যে, এবার হয়তো পথ খুলবে দেশীয় কোচদের।
বাংলাদেশের ক্রিকেট যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়মিত সেই সময় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় ছিলেন মোহাম্মদ রফিক। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে তো বটেই, ব্যাট হাতেও দারুন কিছু ইনিংস খেলেছেন তিনি বাংলাদেশের জার্সিতে।
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় দেওয়ার পর কোচিংয়ে মন দিয়েছেন রফিক। ঘরোয়া ক্রিকেট আসরগুলোয় কোচ হিসেবে নিয়মিত মুখ তিনি। এবার আসন্ন গ্লোবাল সুপার লিগ টি২০ আসরের জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল রংপুর রাইডার্সের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
যদিও বাংলাদেশ দলের হয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে কখনোই সেভাবে প্রস্তাব করা হয়নি বলে আক্ষেপ ঝরেছে তার কণ্ঠে। শুক্রবার রংপুরের অনুশীলন শেষে তিনি জানান, সবসময়ই বিসিবি থেকে ডাক পাওয়ার আশায় প্রস্তুত হয়েই থাকেন তিনি।
এ নিয়ে রফিক বলেছেন,‘’আমরা কিন্তু সবসময়ই প্রস্তুত থাকি কখন আমাদের বোর্ড ডাকবে। দুঃখের বিষয় আমরা অনেকদিন হলো অবসর নিয়েছি, এখন পর্যন্ত তারা সাড়া দেয়নি। কিন্তু আমরা তাদের আশায় তো বসে থাকিনি। আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলায় আছি শেখ জামাল আছে, রংপুর রাইডার্স আছে আমরা কিন্তু ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত থাকি।’’
বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটের জনপ্রিয় ও বড় দুটি আসর বিপিএল এবং ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল)। নিয়মিতই এ দুটি আসরে কোচ হিসেবে কাজ করছেন রফিক। তাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা স্পিনার হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকেই। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে কাজের সুযোগ আসেনি।
এখন অবশ্য নতুন করে আশার আলো দেখছেন মোহাম্মদ রফিক। কারণ ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং ও সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবার সিনিয়র সহকারী কোচ হয়েছেন। তার মানে ১৪ বছর পর আবার জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে দেশের স্বনামধন্য কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন যুক্ত হয়েছেন।
এর মাধ্যমে স্থানীয় কোচদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হবে জানিয়ে রফিক বলেন,‘‘আমরা ক্রিকেট খেলে যে অভিজ্ঞতাটা নিয়েছি সেটা আমরা দেশের মানুষকে ভাগাভাগি করতে পারছি না। এটা কিন্তু দুঃখ লাগে যে কেন পারছি না। দিন দিন কোচিংয়ের জায়গাটার উন্নতি হচ্ছে এটা ভালো।’’
ঘরোয়া ক্রিকেটে ও সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালসহ বর্তমানের জাকের আলী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের মতো ক্রিকেটারদের গুরু সালাহউদ্দিন। তাকে নিয়ে রফিক বলেছেন,‘‘সালাউদ্দিন কোচ হিসেবে যাচ্ছে, ফলাফল ভালো হলে ভালো হবে। খেলবে তো প্লেয়ার। আমরা কোচ হিসেবে কাজ করি আমরা হয়তো তাদের টিপস দিচ্ছি। বাংলাদেশের কোচরা কাজ করছে একটি ইতিবাচক দিক। হতে পারে আপনি তাড়াতাড়ি ফলাফল পাবেন না। যখন সারা বাংলাদেশে স্থানীয় কোচ ছড়িয়ে যাবে সবাই সবাইকে চিনবে। তখন ফলাফলটা ভালো পাবেন।’’
মামুন