আইসিসি মেন’স ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাংকিং
নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে তো বটেই, বিভিন্ন সিরিজ শেষেও হালনাগাদ করা হয় আইসিসি র্যাংকিং। সর্বশেষ হালনাগাদ হওয়া র্যাংকিং দেখে অনেকেই হয়ত চমকে গেছেন! দীর্ঘদিন ধরে ওয়ানডে ফরম্যাটে শীর্ষ অলরাউন্ডার থাকাটাকে যিনি অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন, সেই সাকিব আল হাসানের নামটাই নেই। এমনকি বাংলাদেশিদের মধ্যে শীর্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ; সাকিব তাহলে কোথায় হারালেন!
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে নিয়েছেন অবসর, সাকিবের একমাত্র ফরম্যাট এখন ওয়ানডে। সেই ওয়ানডে র্যাংকিংয়েই কিনা তার নাম নেই। এর কারণ, সাকিব গত এক বছরে কোনো ওয়ানডে খেলেননি। আর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিয়ম অনুযায়ি এক বছর কোনো ম্যাচ না খেললে নাম ওঠে না আইসিসি র্যাংকিংয়ে, তা তিনি সেই ফরম্যাটে যত সমৃদ্ধ পরিসংখ্যানের অধিকারীই হোন না কেন। এ ব্যাপারটিই ঘটেছে সাকিবের ক্ষেত্রে ।
বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সেই ঐতিহাসিক ম্যাচেই ঘটেছিল টাইমড আউট কাণ্ড। এরপর চোটের কারণে শেষদিকে মাঠে নামা হয়নি সাকিবের। এমনকি বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ দুটি সিরিজ খেললেও কোনো সিরিজেই ছিলেন না সাকিব।
দীর্ঘ এক বছর কোনো ম্যাচ না খেলায় সাকিবের নাম র্যাংকিংয়ের ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে কাটা পড়েছে। অবশ্য একটি ম্যাচ খেললেই আবারো ঢুকে পড়বেন র্যাংকিংয়ে। এ মুহূর্তে যথারীতি শীর্ষে আছেন মোহাম্মদ নবী। দুইয়ে জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা, তিনে আরেক আফগান রশিদ খান। চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ। শীর্ষ দশে আরও আছেন জেরার্ড ইরাসমাস, ব্রেন্ডন ম্যাকমুলান, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্যান্টনার, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
অবশ্য সাকিব ওয়ানডে থেকে এখনও অবসর না নিলেও তিনি আর মাঠে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। দেশের মাটিতে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব, তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরপর সংসদ সদস্যপদ হারিয়ে তিনি পড়েন রোষানলে, শেষমেশ দেশে এসে খেলা হয়নি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগাররা ওয়ানডে সিরিজ খেলে আরব আমিরাতের মাটিতে, তবে সাকিব সেই সিরিজেও খেলেননি।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ( ফেব্রুয়ারি’ ২৫, পাকিস্তানে) আগে বাংলাদেশ দলের আরও তিনটি ওয়ানডে আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সেই তিনটি ওয়ানডেতেও সাকিবের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত। শেষপর্যন্ত যদি সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও না খেলেন, তাহলে বড় এক প্রশ্নবোধক ঝুলবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার খেলা নিয়েও, অনেকে হয়ত দেখে ফেলবেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষটাও!
মিরাজ/জাফরান