.
ম্যাক্স গ্রুপ ৩৩তম জাতীয়, সাঁতার, ডাইভিং ও ওয়াটারপোলো প্রতিযোগিতা মঙ্গলবার মিরপুরের সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে শেষ হয়েছে। প্রতিযোগিতার চতুর্থ ও শেষ দিনে সাঁতারে ৮টি ডাইভিং এ ২টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সাঁতারে ২টি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি হয়। এ প্রতিযোগিতায় সাঁতারে সর্বমোট ১০টি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ৩২টি স্বর্ণ, ২৬টি রৌপ্য, ১২টি ব্রোঞ্জপদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১০টি স্বর্ণ, ১৫টি রৌপ্য, ২৩টি ব্রোঞ্জপদক পেয়ে দ্বিতীয় ও বিকেএসপি ১টি রৌপ্য, ৭টি ব্রোঞ্জপদক পেয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। ওয়াটারপোলো প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী রানার্স আপ এবং বাংলাদেশ পুলিশ তৃতীয় হয়। বিজয়ী সাঁতারুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (পার্সোনেল) রিয়ার এডমিরাল মো. মুসা। এ সময় সুইমিং ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি ও ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মো. আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সামিউল ইসলাম রাফি ৫টি স্বর্ণ ও একটি ব্রোঞ্জপদক (৩টি নতুন জাতীয় রেকর্ড) নিয়ে এবং মেয়েদের বিভাগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুঁথী আক্তার ৪টি স্বর্ণ (৩টি নতুন জাতীয় রেকর্ড) ও একটি রোপা জিতে সেরা সাঁতারু নির্বাচিত হন। রাফি-যুঁথীকে পুরস্কার হিসেবে ট্রফি ও প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়। মঙ্গলবার শেষ দিনে আরও দুটি জাতীয় রেকর্ড গড়েন সাঁতারুরা। মেয়েদের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে এক মিনিট ১১.৮৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন নৌবাহিনীর যুঁথী আক্তার। ২০২২ সালে একই সংস্থার সুরাইয়া আক্তারের এক মিনিট ১২.৩৭ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে দেন তিনি। ছেলেদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে চার মিনিট ১৪.২৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে নিজের আগের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েন নৌবাহিনীর কাজল মিয়া। ২০২১ সালে তার রেকর্ডটি ছিল চার মিনিট ১৭.৩৫ সেকেন্ডের।
বিশ্ব সাঁতার সংস্থা ফিনার ৃত্তি নিয়ে রাফি থাইল্যান্ডে গেছেন দুই বছর আগে। সেখানকার অনুশীলনের মাঝ পথে বাংলাদেশে এসে অংশ নিচ্ছেন ৩৩তম জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে। অলিম্পিয়ান সাঁতারু রাফি থাইল্যান্ডের অনুশীলন কাজে লাগিয়ে সেরা টাইমিং করতে চান আগামী মাসে হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে দ্বিতীয় ধাপে থাইল্যান্ডে গিয়ে আগের টাইমিংয়েই পৌঁছাতে পারছিলাম না। যদিও কোচ বলেছিলেন সব ঠিক হয়ে যাবে। তারপরও এটা নিয়ে খুব হতাশ হয়ে পড়ি। এর ওপর হঠাৎ করে জাতীয় সাঁতারের তারিখ ঘোষণা করা হলো। ভেবে পাচ্ছিলাম না কি হবে, না হবে? এরপর কোচ আমাকে গত ২ মাস কঠিন ট্রেনিং করান। এতেই টাইমিংয়ে এত উন্নতি হয়েছে আমার।’
যুঁথী বলেন, ‘আমার কোচ মাহফুজা খাতুন শীলা। ওনার অধীনে ভালো করছি। সামনে হাঙ্গেরিতে ওয়ার্ল্ড সুইমিংয়ে যাব। আশাকরি এই পারফরম্যান্স আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। ওখানে টাইমিং আরও কমানোর চেষ্টা করব।’