প্রথম ভারতীয় হিসেবে টি২০তে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড স্যামসনের
ডারবানে সিরিজের প্রথম টি২০তে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন সাঞ্জু স্যামসন। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর ৫০ বলে ১০ ছক্কা ও ৭ চারে উপহার দেন ১০৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। যার ওপর ভর করে ৮ উইকেটে ২০২ রানের বড় স্কোর গড়ে ভারত। এরপর ১৭.৫ ওভারে দক্ষিন আফ্রিকাকে ১৪১ রানে গুটিয়ে দিয়ে সুর্যকুমার যাদবের দল তুলে নেয় ৬১ রানের বড় জয়। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার বরুন চক্রবর্তী ও রবি বিষ্ণই।
টি২০তে ঠিক আগের সিরিজেই হায়দরাবাদে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ ছক্কা ও ১১ চারে ৪৭ বলে ১১১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন ২৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার। ভারতের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই সংস্করণে টানা দুটি সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন স্যামসন । পুরুষদের টি২০তে গোটা বিশ্বে তার আগে এই স্বাদ পান তিন জন- ফ্রান্সের গুস্তাভ মেকিয়ান, দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো ও ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট।
২০২২ সালে সুইজারল্যান্ড ও নরওয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে এই কীর্তি গড়েন মেকিয়ান। একই বছর রুশো টানা দুটি সেঞ্চুরি করেন ভারত ও বাংলাদেশের বিপক্ষে। তার দ্বিতীয়টি ছিল বিশ্বকাপের ম্যাচে। গত বছর সল্ট পরপর দুটি সেঞ্চুরি করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
এ দিন স্যামসনের ১০ ছক্কা ভারতের হয়ে টি২০ ইনিংসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালে ইন্দোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ ছক্কা মেরেছিলেন রোহিত শার্মাও। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে টি২০তে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার কীর্তি গড়েছেন স্যামসন। আগের সর্বোচ্চ ৮টি করে ছক্কা ছিল রুশো ও সুর্যকুমারের।
স্যামসনের ১০৭ রান এই দুই দলের মধ্যে টি২০তে কারও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। ২০২২ সালে গোহাটিতে ডেভিড মিলারের অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস ছিল আগের সেরা। ভারতের হয়ে এই সংস্করণে প্রথম ২৮ ইনিংসে স্যামসনের ছিল না কোনো সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ ছিল ৭৭। পরের দুই ইনিংসে তিনি পেয়ে গেলেন দুটি শতক।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্যামসনের তাণ্ডবের শুরু হয় দ্বিতীয় ওভারে এইডেন মার্করামকে বাউন্ডারি মেরে। পরের ওভারে তিনি পরপর চার ও ছক্কা মারেন কেশভ মহারাজকে। ৫ ছক্কা ও ৩ চারে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন তিনি ২৭ বলে। আরও ৪ ছক্কায় পরের ২০ বলে ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্ক। সেঞ্চুরির পর তিনি ছক্কা মারেন আরেকটি। পরের বলেই আউট হয়ে যান ট্রিস্টান স্টাবসের দারুণ ক্যাচে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে করে ২০২ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে তিলাক ভার্মার ব্যাট থেকে। বড় রানের জবাবে একদমই সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিক দক্ষিন আফ্রিকা। ওপেনিংয়ে অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ফেরেন ৮ রান করে। সবোচ্চ ২৫ রান আসে চারে নামা হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে ২৩ রানে করে জেরালড কোয়েটজ।
মিরাজ/টুম্পা