ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

সাকিব-তামিমের বিকল্প তৈরির পরিকল্পনা সালাউদ্দিনের

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১০, ৯ নভেম্বর ২০২৪

সাকিব-তামিমের বিকল্প তৈরির পরিকল্পনা সালাউদ্দিনের

.

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে যখন প্রথমবার কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন, তখন সবেমাত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমরা। ওই সময় মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ ছিলেন। পরবর্তীতে সহকারী কোচ হিসেবে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে সাকিব-তামিমদের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। ইতোমধ্যেই সাকিব, তামিম ও মুশফিকদের ক্যারিয়ার শেষের পথে। তবে তাদের বিকল্প খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। ১৪ বছর পর আবার সালাউদ্দিন ফিরেছেন জাতীয় দলে। এবার সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্বটা আরও বেশি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রকাশ করা এক ভিডিও বার্তায় সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি বিকল্প তৈরি করতে চান। সাকিব-তামিমরা যে পর্যায়ে নিয়ে গেছে দেশের ক্রিকেটকেÑ সেটা ভেঙে আরেকটু উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তার।
২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব পেয়েছেন আপাতত সালাউদ্দিন। আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবেন তিনি আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে। তবে এর আগেই মাঠে নেমে পড়েছেন। দেশে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়, লিটন কুমার দাসদের নিয়ে তিনি মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজের লক্ষ্য নিয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা যারা বলি সাকিব, তামিম, মুশফিকরা একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে গেছে, ওটা যদি না ভাঙতে পারি তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের ক্রিকেট এগোয়নি। (আমাদের কাজ) পরবর্তী প্রজন্ম যেন তাদের চেয়ে ভালো খেলোয়াড় হতে পারে, বড় হতে পারে। সেটা অসম্ভবও নয়। এখন খেলোয়াড়রা মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক দিক থেকে অনেক স্বাবলম্বী। যেটা হয়তো আগে ছিল না। এখন ভালো করার সুযোগ বেশি।’ ক্রিকেটারদের মানসিকতা ও চিন্তাভাবনারও পরিবর্তন আনা জরুরি মনে করেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘এইচপি বা অনূর্ধ্ব-১৯ খেলোয়াড়দের লক্ষ্য জিজ্ঞেস করলে বলবে জাতীয় দলে খেলতে চাই। স্বপ্নটা কিন্তু ওখানেই থেমে গেল। জাতীয় দলে খেললে এরপর কীভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে সেটা তারা জানে না। যারা এতদিন খেলছি, তাদের আসলে কী ধরনের লক্ষ্য হওয়া উচিত, মানসিকতা হওয়া উচিত, কিভাবে আরও বড় খেলোয়াড় হওয়ার জন্য নিজেকে মোটিভেট করা উচিত, এই ছোট ছোট কাজগুলো যদি করা যায়, বিশেষ করে ড্রেসিংরুমে এবং ড্রেসিংরুমের বাইরে কীভাবে চিন্তা করবে। সেই চিন্তার জায়গাটা যদি আরও পরিষ্কার করে ধারণা দেওয়া যায়, তাদের আরও ভালো ভবিষ্যৎ সামনে আছে।’

 

×