সালাউদ্দিন
জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা তারও ছিল। তবে যুতসই প্রস্তাবনা কিংবা সেভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে আলোচনাটা ফলপ্রসূ হয়নি বলে সেটি বাস্তব হয়নি। অবশেষে দীর্ঘদিন ধরে চলা গুঞ্জনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ক্রিকেটাররা যখন রান করতে পারেন না, বারবার যখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হন তখনই তারা এই কোচের শরণাপন্ন হন।
এ কারণে দেশের ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকদের লম্বা সময় ধরে দাবি ছিল সালাউদ্দিনকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগের। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে তাকে কোচ হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবি। চলতি মাসের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই সফরেই জাতীয় দলের সঙ্গী হবেন সালাউদ্দিন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরই আর দেরি করেননি দেশের অন্যতম সফল এই কোচ। বুধবার দুপুরেই তিনি নেমে পড়েছেন কাজে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনি টেস্ট দলের ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন।
সালাউদ্দিন ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই সময়ে প্রধান কোচ হিসেবে ডেভ হোয়াটমোর ও জেমি সিডন্সের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে তার। ফিল্ডিং কোচ ছিলেন তিনি এবং সহকারী কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১০ থেকে এক বছর তিনি বিশেষ কোচ হিসেবে কাজ করেছেন বাংলাদেশ একাডেমি দলের।
২০১৪ সালে সিঙ্গাপুর ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তার কোচিংয়ে ৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এছাড়া দেশের লিস্ট ‘এ’ আসরেও নিজ ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। এসিসি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অধীনে কোচিংয়ে লেভেল থ্রি কোর্স সম্পন্ন করেছেন সালাউদ্দিন। এ কারণেই তাকে অনেকবার বাংলাদেশ দলের কোচ করার দাবি উঠেছে।
অবশেষে ১৪ বছর পর আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতে পেরেছেন সালাউদ্দিন। আসন্ন বিপিএলে তার দল কুমিল্লা নেই এবার এবং অন্য কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ হননি। তাই জাতীয় দলের হয়ে কাজটা নির্বিঘ্নেই করতে পারবেন। ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত আপাতত মাসে ৮/৯ লাখ টাকা বেতনে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শুরু হলেও বুধবার কাজে নেমে পড়েছেন সালাউদ্দিন।