সন্তানদের সঙ্গে হামজা চৌধুরী
‘বাংলা ভাষা একটু একটু পারি। বাবা আমাকে শিখিয়েছেন। এ ছাড়া গুগলের সহায়তা নিচ্ছি। এভাবে বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ কথাগুলো হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একমাত্র ব্রিটিশ-বাংলাদেশী এই ফুটবলার একাধিকবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। সেই সূত্র ধরেই বাফুফের সঙ্গে আলোচনার শুরু এবং পরে তার পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত জুলাইয়ে তার পাসপোর্টের কাজও শেষ হয়। এখন তিনি লেস্টার সিটির হয়ে খেলছেন। ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তি রয়েছে। এর আগে ধারে খেলেছিলেন ওয়াটফোর্ডে।
বাংলাদেশের হয়ে হামজার খেলা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছেন লেস্টার সিটির এই তারকা মিডফিল্ডার নিজেও। আনুষ্ঠানিকভাবে এই জার্সি গায়ে জড়ানোর আগে বাংলা ভাষাও শিখছেন তিনি। এমনিতে অবশ্য সিলেটি ভাষা মোটামুটি পারেন হামজা। তবে বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগে এবার প্রমিত বাংলা ভাষা রপ্ত করার চেষ্টা করছেন তিনি।
দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এই ইংলিশ ফুটবলার। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে খেলা নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে হামজা বলেন, ‘আগে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ হোক, এরপর আমাকে কী করতে হবে তা নিয়ে ভাবব। এখন তাদের হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় আছি।’
বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার অভিষেকের অপেক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলি, তা দেশটির মানুষ চান। তারা আমাকে ভালোবাসেন, আমিও বাংলাদেশকে ভালোবাসি। যে কারণে আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার মা-বাবাও এটাই চান। আমি বাংলাদেশের হয়ে খেললে তারা খুশি হবেন।’
২৬ বছর বয়সী হামজার পুরো নাম হামজা দেওয়ান চৌধুরী। মা বাংলাদেশী হলেও বাবা গ্রেনাডিয়ান। তার পরিবারের সদস্যরা সিলেটের বাসিন্দা। সে হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে একটা রক্তের বন্ধন আছে তার। সেই বন্ধন ভুলে যাননি বলেই বোধহয় ইংল্যান্ডের মতো দল ছেড়ে খেলতে চান লাল-সবুজের জার্সি গায়ে।
১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর ইংল্যান্ডের লাউগবার্গে জন্ম নেওয়া এ ফুটবলার খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটিতে। মিডফিল্ডার হামজা ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলে ডাক পান।