সংগৃহীত ছবি
কোনো সিনেমার দৃশ্য নয়, নয় কোনো কল্পকাহিনী। ঘটনার আকস্মিকতায় থমকে যাবেন যে কেউই। মাঠে ফুটবলারদের লুটিয়ে পড়ার মুহূর্ত, হৃদমাঝারে আনবে বিষাদ।
ঘটনা পেরুর চিলকা রাজ্যে। আঞ্চলিক ফুটবল টুর্নামেন্টে লড়ছিল দুই স্থানীয় ক্লাব যুবেন্তুদ বেলাভিস্তা আর ফামিলিয়া চোক্কা। কিন্তু ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ বাদেই বেঁকে বসে প্রকৃতি। আকাশে বজ্রপাত আর বিদ্যুৎ চমকানো শুরু হলে ম্যাচরেফারি খেলা সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দেন। তা মেনেই মাঠ ছাড়ছিলেন ফুটবলাররা। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে সেখানেই।
মাঠ ছাড়ার সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে আহত হন ৬ জন। ৫ ফুটবলার সঙ্গে এক টিম স্টাফ। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তারা। ঘটনাস্থলে মারা যান ৩৯ বছর বয়সি ডিফেন্ডার হুগো দেলা ক্রুজ মোজার।
আহত হন আরও পাঁচ জন। এর মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর। যাদের শরীরে আছে পোড়া ক্ষতচিহ্ন। তাদের মধ্যে ১৬ ও ১৯ বছর বয়সি দুই কিশোর এরিক এস্তিভেন গুস্তাভো আর পারিয়েনা চোক্কার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও ২৪ বছর বয়সি ক্রিস্টিয়ান সিজার পিতুইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি আছেন হুয়ান চোক্কা নামক আরও একজন। বজ্রপাতের কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। স্থগিত করা হয় টুর্নামেন্টটি।
মাঠে ফুটবলারদের ওপর বজ্রাঘাতে কারণ হিসেবে স্থানীয় প্রশাসনের প্রকৌশলী লুচো দুয়ার্তে বলেন, ‘খেলার মাঠে বজ্রপাত প্রতিরোধক ব্যবস্থা এবং ঝড়ের সময় দ্রুত কার্যক্রম বন্ধ করতে সুরক্ষা প্রটোকল জরুরি। দেলা ক্রুজের হাতে একটি ধাতব ব্রেসলেট ছিল, যা বজ্রপাতের কারণ হতে পারে। বজ্রপাতের ঝুঁকি এড়াতে খোলা মাঠে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশজুড়ে। যদিও ফুটবল মাঠে বজ্রপাতের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল কিংবা পেরুতে ঘটেছে একই ধরনের ঘটনা। হয়েছে প্রাণহানিও।