ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল
‘এবারের বিপিএলকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুস নিজেই এর সাথে যুক্ত রয়েছেন, এটা আমাদের জন্য দারুণ একটা সুখবর। আমাদের ক্রীড়া উপদেষ্টা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে বিপিএলের সাথে জড়িত। বিপিএলের যে শক্তি, আমাদের দেশে এমন উপলক্ষ্য খুব বেশি আসে না যেটাকে নিয়ে সবাই কানেক্টেড থাকি। বিপিএল তেমন এক উপলক্ষ্য। সেই শক্তিটাকে কাজে লাগানোর একটা প্রয়াস আমাদের আছে, সেটাই এসেছে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে।’ বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
অভিজ্ঞ কোচ ও ক্রিকেট বিশ্লেষক ফাহিম আরও বলেন, ‘আমাদের তরুণ সমাজ যে যুদ্ধ করেছে এবং বিজয়ী হয়েছে সেটাও এখানে উঠে আসবে। সত্যিটা পুরো বিপিএলে আমরা দেখানোর চেষ্টা করব।‘ আন্তর্জাতিক মাত্রায় নিয়ে যেতে বিদেশি সেলেব্রিটিদের আনা হবে, হওয়ার কথা রয়েছে মনোমুগ্ধকর উদ্বোধনী ও সমাপনি অনুষ্ঠান। এছাড়া বিশ্বের সেরা সেরা মানুষের ধুলো পড়তে পারে বাংলাদেশে, বিপিএলের বদৌলতে।
অলিম্পিকের মতো মেগা আসর কীভাবে আরও সুন্দর করা যায়, সেসব পরামর্শ নেওয়া হয় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছ থেকে। নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের পরামর্শে এবার বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে ধারনাটাই। স্বয়ং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা স্বপ্রণোদিত হয়ে বিপিএলকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন, যার ধারায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে বিসিবি।
অতীতের সব অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনা ফেলে নতুন করে সাজানো হচ্ছে বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। দায়সারা আয়োজন নয়, দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া সংস্থা জমকালো আয়োজনে তাক লাগিয়ে দিতে চায় বিশ্বকে। শুধু মাঠের ক্রিকেটেই নয়, খেলার বাইরেও বিপিএল হয়ে উঠবে বড় বড় তারকাদের মিলনমেলা। ড. ইউনুসের মাপের অন্যান্য বিশ্বব্যক্তিত্বকেও দেখা যেতে পারে। গণমানুষের কাছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে পৌঁছে দিতে হবে আঞ্চলিক পর্যায়ে অভিনব সব আয়োজন।
বিপিএলের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লব ও নতুন বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চায় বিসিবি। এছাড়াও দেশব্যাপী বিপিএলকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হবে উৎসবমুখর পরিবেশ, জানালেন ফাহিম,‘বিপিএলকে যেন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারি। শুধু খেলা না, খেলার বাইরেও আরও অনেক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। এটুকু বলতে পারি, প্রত্যেক জেলা-উপজেলা মিলে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম, হতে পারে খেলার আয়োজন, মেলার আয়োজন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম; যতদিন বিপিএল চলবে সব সাধারণ মানুষ বিপিএলের সাথে কানেক্টেড থাকবে। ব্র্যান্ডিংয়ের প্রয়াস থাকবে, সারা পৃথিবী জুড়ে প্রচারিত হবে, দেখবে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।
ইতোমধ্যে প্লেয়ার্স ড্রাফট হয়ে গেছে। সব ঠিক থাকলে সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম নিয়ে আগামি ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের ১১তম আসর।
মিরাজ/টুম্পা