ছাদখোলা বাসেও চড়বেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলার। ছবি: সংগৃহীত
সাফজয়ী মেয়েদের বরণের জন্য বাফুফের প্রস্তুত রাখা ছাদখোলা বাসেও চড়বেন না কোচ পিটার বাটলার। আজ সকালে নেপাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদককে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
বড্ড অভিমানী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ বাটলার। দল চ্যাম্পিয়ন হলেও তাঁর ভাঙা মনটা জোড়া লাগেনি। গত কদিন ধরে জ্বলতে থাকা দ্রোহের আগুন যেন কিছুতেই নিভছে না। সবশেষ বুধবার রাতে সাফের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের মেয়েরা। এমন খুশির দিনে তিনি বলে দেন ‘বিদায়।’
যদিও বাফুফের সঙ্গে তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। তার পরই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচের চেয়ার ছাড়বেন। যেমনটা আজকের পত্রিকাকেও বলেছিলেন তিনি, ‘চুক্তিকে আমি সম্মান করি। তাই এখনই কোচের দায়িত্ব ছাড়ছি না। তবে এটাই মেয়েদের কোচ হিসেবে আমার শেষ ম্যাচ। ৩১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কোচের দায়িত্বটাও ছাড়ব।’
এদিকে হুট করে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কী—জানতে চাইলে গতকালই পিটার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সত্যি ক্লান্ত। কোচিং ক্যারিয়ারে এতটা সমস্যায় আগে পড়িনি।’ সমস্যাটা কেমন? উত্তরে পিটার বলেন, ‘তিন মাস হলো বেতন পাচ্ছি না। এরপর অনেকের খবরদারি। কী আর বলব। সব মিলিয়ে আমি একটু হতাশই।’
আজ সকালে বললেন ছাদখোলা বাসে না ওঠার কথা, ‘না, এটা আমার জন্য নয়। আমি বাসে চড়ব না। মেয়েদের উপভোগ করতে দিন। তাঁরা ঘুরে বেড়াক। আমি অন্য একটি ফ্লাইট ধরার চেষ্টা করছি।’
অন্য ফ্লাইট কেন, আপনি মেয়েদের সঙ্গে একই ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসছেন না—এমন প্রশ্নের উত্তরে পিটার বলেন, ‘হ্যাঁ, আসব। তবে আজ রাতেই আমি ইংল্যান্ডের বিমান ধরতে চাই। আমাকে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’
বেশি দিন হয়নি বাংলাদেশ নারী ফুটবলের দায়িত্ব নিয়েছেন পিটার। তাকে মূলত আনা হয় বাফুফের এলিট একাডেমিতে কাজ করানোর জন্য। বছরখানেক সেখানে কোচিং করিয়ে গত মার্চে নারী ফুটবল দলের দায়িত্ব নেন।
এর মধ্যে ঘটে গেল অনেক কিছু। এক সাফ জয়ের আড়ালে কতশত আলোচনা। দলের মধ্যে দলাদলি। কোচকে নিয়ে কানাঘুষা। এসবে হয়তো ভীষণ মন খারাপ বাটলারের। তাই সব ছেড়ে একটু সুখের আশায় নিজ মাতৃভূমি ইংল্যান্ডে ফিরতে চাইছেন ওয়েস্টহামের সাবেক এই মিডফিল্ডার।
ইসরাত