পিটার বাটলার
কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই পিনপতন নীরবতা। অথচ কিছুক্ষণ আগেও এই স্টেডিয়ামটি স্বাগতিক সমর্থকদের চিৎকার, চেঁচামেচিতে মুখর ছিল। এর কারণ টানা দ্বিতীয়বারের মতো যে নেপালকে ঘরের মাঠে পরাজিত করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ।
এদিকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলেও বারবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হতে হয়েছে পুরো দলকে। কেননা দলের মধ্যে কোচের সঙ্গে খেলোয়াড়দের মনোমালিন্য ছিল টপ সিক্রেট। শেষ পর্যন্ত সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই শুনতে হয়েছে বড় দুঃসংবাদ।
বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার জানিয়েছেন তিনি আর সাবিনা-তহুরাদের দায়িত্বে থাকতে চান না। মেয়াদ শেষ হলেই তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন। তার চুক্তির মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিষয়টি গণ্যমাধ্যমে পিটার নিজেই নিশ্চিত করেছেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের কোনো উদযাপনেই সামিল হননি তিনি।
বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার জানিয়েছেন তিনি আর সাবিনা-তহুরাদের দায়িত্বে থাকতে চান না। মেয়াদ শেষ হলেই তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন। তার চুক্তির মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিষয়টি গণ্যমাধ্যমে পিটার নিজেই নিশ্চিত করেছেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের কোনো উদযাপনেই সামিল হননি তিনি।
কেন তিনি এমন করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে পিটারের উত্তর, আমি সত্যি ক্লান্ত। কোচিং ক্যারিয়ারে এতটা সমস্যায় আগে পড়িনি। সমস্যাটা কেমন জানতে চাইলে পিটার বলেন, তিন মাস হলো বেতন পাচ্ছি না। এরপর অনেকের খবরদারি। কী আর বলব। সব মিলিয়ে আমি একটু হতাশই।
তিনি আরও বলেন, এই ট্রফি জয় মেয়েদের উপভোগ করতে দিন। আমার উদযাপনের দরকার নেই। এটা আমার শেষ ম্যাচ। মেয়েদের দায়িত্বে আমি আর থাকছি না। তবে বাফুফের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব। মেয়েদের সঙ্গে এটাই আমার শেষ ম্যাচ ছিল।
বেশি দিন হয়নি বাংলাদেশ নারী ফুটবলের দায়িত্ব নিয়েছেন পিটার। তাকে মূলত আনা হয় বাফুফের এলিট একাডেমিতে কাজ করার জন্য। বছরখানেক সেখানে কোচিং করিয়ে গত মার্চে নারী ফুটবল দলের দায়িত্ব নেন।
শিহাব উদ্দিন