ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

সাফল্যের পুনরাবৃত্তির সন্নিকটে বাংলার বাঘিনীরা

প্রকাশিত: ২২:১৪, ২৮ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ২২:২১, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

সাফল্যের পুনরাবৃত্তির সন্নিকটে বাংলার বাঘিনীরা

অনুশীলনে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল

২০২২ সালের মতো এবারও ২০২৪ সালের সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ ও নেপাল। গতবারের মতো এবারও আসরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে। 
২০২২ আসরের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে আর মাত্র এক জয় দূরে বাংলার বাঘিনীরা। 
 বুধবার স্বাগতিক ও হিমালয়ের দেশের কন্যাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাঠে নামবে বঙ্গকন্যারা। এজন্য অনুশীলনে তারা বেশ সিরিয়াস। ঝরাচ্ছে ঘাম। কোচের সঙ্গে সিনিয়র ফুটবলারদের ঝামেলা থাকলেও আপাতত সেগুলোকে একপাশে সরিয়ে রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠিন সংকল্প বাস্তবায়নে তৎপর সবাই। 


আজ সোমবারের অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমে, কথা বলেন বাংলাদেশ ডিফেন্ডার আফঈদা খন্দকার। তিনি বলেন, ‘যেভাবে খেলে আসছি নেপালের সাথে এর আগেও ... বাংলাদেশে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছি, এশিয়ান গেমসেও খেলেছি। ভান্ডারি আপু (সাবিত্রা ভাণ্ডারি), তিনিও খেলেছেন আমাদের বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গে যেভাবে ম্যাচগুলি খেলেছি, এবারও সেভাবেই ঠাণ্ডা মাথায় খেলার চেষ্টা করবো। উত্তেজনা থাকতেই পারে মাঠের ভেতরে, দর্শক সমর্থনও থাকবে তাদের পক্ষে। কিন্তু আমাদের মাথা গরম করা যাবে না।’ 
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে ভারতের সঙ্গে খেলতে গিয়ে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন নেপাল ফরোয়ার্ড রেখা পাউদেল। তিনি এই আসরে দলের হয়ে টপ স্কোরার (৭ গোল)। ফাইনালে তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না। এতে কতটা সুবিধা পাবে বাংলাদেশ? এই প্রশ্নের জবাবে আফঈদা বলেন, ‘হ্যাঁ, এতে একটু হলেও স্বস্তির জায়গা পাব। কারণ দুজন (আরেকজন ফরোয়ার্ড সাবিত্রা ভান্ডারি) থাকলে বেশি প্রেশার পড়তো আমাদের ওপর। দুজনের একজন না থাকায় আমাদের জন্য একটু স্বস্তিরই বটে।’


ফাইনালে দর্শক সমর্থন থাকবে নেপালের দিকে। এ নিয়ে আফঈদার ভাষ্য, ‘আমরা মনে করবো নেপালের সাপোর্টাররাও আমাদের সাপোর্টার। এটা চাপ নেওয়ার কোন বিষয় না।’ 
সর্বশেষ ২০২২ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও এই একই ভেন্যুতে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচে অবতীর্ণ হয়েছিল লাল-সবুজ বাহিনী। নতুন ইতিহাস রচনা করতে কিংবা আগের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে বাংলার বাঘিনীরা মাত্র এক ধাপ দূরে আছে। এ প্রসঙ্গে আফঈদার প্রতিক্রিয়া, ‘ইতিহাস রচনা আপুরা গতবারই করেছে। এবার আমাদের তা ধরে রাখার পালা। আমরা অবশ্যই আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করবো। যেন ভালো খেলতে পারি, এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। আমরা ইনশাল্লাহ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়েই বাংলাদেশে ফিরবো।’


সবশেষষে আঈফদা বলেন, ‘সব টিমই মোটামুটি ভালই খেলেছে। পাকিস্তান ভালো খেলেছে। ভুটানও অনেক ইমপ্রুভ করেছে। ইন্ডিয়াও ভালো। এখনও নেপালের সঙ্গে খেলিনি। আশাকরি নেপালও ভাল খেলবে এবং আমরা সেভাবেই মাঠে নামবো।’
 

রুমেল খান/ শিহাব উদ্দিন

×