ক্রীড়ার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আশা তাবিথের

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরই ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার আশা প্রকাশ করেছেন তাবিথ আউয়াল। শনিবার তিনি রেকর্ড ভোটে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার প্রধান হয়েছেন। 
নবনির্বাচিত চার সহসভাপতি ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতিকে নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাবিথ। তিনি শুরুতেই বলেন, বিগত জুলাই-আগস্ট মাসে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার অবদানে মুক্ত বাংলাদেশে আজকে আমরা আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই একজন তরুণ ক্রীড়াপ্রেমিক আমাদের বর্তমান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে।

উনার দিকনির্দেশনায় এবং উনার সাহসে আমরা এ রকম একটা ভালো মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করে আগামী দিনের ফুটবলকে আরও ভালো জায়গায়  নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সভাপতি হয়েই গঠনতন্ত্র সংস্কারে বিষয়টি স্পষ্ট করে তাবিথ বলেন, আমরা সকলেই একমত যে ফুটবলে আমরা সংস্কার আনতে চাই। এই কারণে আমরা শুরুতে গঠনতন্ত্র সংস্কার হাতে নিব। একই সঙ্গে মাঠে খেলা চলমান থাকে, মানটা আরও ওপরের দিকে হয়  সেই চেষ্টাও থাকবে।
সকল ফেডারেশন জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে খেলা পরিচালনা করে। বাফুফে ২০০৮ সাল থেকে করে আসছে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে। গঠনতন্ত্রের কোনো অংশের সংস্কার এই প্রশ্নের উত্তরে নতুন সভাপতি বলেন, আমরা অনেক কর্মপরিকল্পনা হাতে  নেব। ইতোমধ্যে আপনারা জানেন আমাদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেডারেশন সংক্রান্ত একটি ম্যানুয়াল দিয়েছেন। আরো ডকুমেন্ট সামনে এনে প্রথম মিটিংয়ে আমরা ফাইনাল সিদ্ধান্ত  নেব। অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য ফুটবলকে এগিয়ে আনা। সালাউদ্দিন আমলে নির্বাহী সভায় অনেক সিদ্ধান্ত হতো না।

সভাপতির ইচ্ছে অনিচ্ছায় অনেক কিছু হয়েছে। তাবিথ আমলে কেমন চর্চা হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নতুন সভাপতি বলেন, আমাদের কমিটি কিভাবে চলবে, কোন প্রক্রিয়ায় চলবে সেগুলো আমরা আমাদের প্রথম নির্বাহী মিটিংয়ের মাধ্যমে আপনাদেরকে পেশ করব। মুখের কথা নয়, কাজে বিশ্বাস করি। আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন, আমাদের কাজের ফলাফল দেখতে পাবেন।
তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে স্মরণ করলেও আবার নির্দলীয় কথাও বলেছেন। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, আমরা ধন্যবাদ জানাই দেশনেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদ জিয়া এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। যারা আমাদেরকে বারবার সাহস দিয়েছেন ক্রীড়াকে এগিয়ে নিতে। ক্রীড়ার মাধ্যমে আমরা যেন দেশটাকে এগিয়ে নিতে পারি। ভালো কিছু উপহার দিতে পারি। একই সঙ্গে ক্রীড়া চলমান অবস্থায় দলীয়করণ না চলে আসে, সেই সিদ্ধান্ত আমাকে দিয়েছে বাস্তবায়নের জন্য।