ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১

ফাইনালে খেলতে আশাবাদী বাংলাদেশ

জাহিদুল আলম জয়

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

ফাইনালে খেলতে আশাবাদী বাংলাদেশ

ফাইনালে খেলতে আশাবাদী বাংলাদেশ

ফাইনাল খেলার একমাত্র লক্ষ্য নিয়ে সপ্তম নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মাঠে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আসরের প্রথম সেমিতে বদলে যাওয়া ভুটানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলার বাঘিনীরা। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় আজ দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে শেষ চারের আরেক ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে আসরের সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। 
সেমিফাইনালের আগের দিন দুর্ভাবনা ভর করে বাংলাদেশ শিবিরে। অসুস্থ হয়ে দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হালকা ইনজুরির সঙ্গে জ্বরে ভুগছেন বাঘিনী অধিনায়ক। শুধু তাই নয়, এর আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ডিফেন্ডার আফেইদা খন্দকার। ভারতের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৩-১ ব্যবধানে জয়ের পথে চোখ ধাঁধানো গোল করেছিলেন এই তরুণী। তবে স্বস্তির বিষয়, সেরে উঠে শনিবার দলের সঙ্গেই অনুশীলন করেছেন আফেইদা।

সাবিনার জ্বর থাকলেও তার সেমিফাইনালে খেলা নিয়ে খুব বেশি অনিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। তিনি বলেন, সাবিনার হালকা জ্বর আছে। জ্বর না থাকলে সে খেলতে পারবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার অবস্থা দেখে। সাবিনা না খেলতে পারলেও তার বিকল্প আমাদের হাতে আছে। তবে আশা করি তাকে নিয়েই মাঠে নামতে পারবে দল। পিটার আরও বলেন, আমরা জয় ছাড়া কিছুই ভাবছি না। আশা করি দল ফাইনালে খেলবে। 
দুই বছর আগে এই মাঠেই সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সাবিনা। পরে ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-সবুজের দেশ। যা নারীদের সাফে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা জয়ের কীর্তি। ওই শিরোপা জয়ের পর বাংলাদেশের মেয়েদের জমকালো আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল। যা ছিল বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংবর্ধনা ও উৎসবমুখর আয়োজন। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ী ক্রিকেট দল ও ২০২০ সালে অনূর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ বিজয়ী দলকেও দেওয়া হয়েছিল সংবর্ধনা।

কিন্তু ২০২২ সালে মেয়েদের সাফ জয়ের সংবর্ধনা ও উৎসব অতীতের যে কোনো কিছুকে ছাড়িয়ে যায়। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংবর্ধনা ও সবচেয়ে বেশি মানুষের ভালোবাসা পান সাবিনা-সানজিদা-মারিয়া-স্বপ্নারা। এবার সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা বাংলার সোনার মেয়েদের। এই লক্ষ্য পূরণে আর মাত্র দুই জয় দরকার বাঘিনীদের। 
এরে আগে ভুটানকে বলেকয়ে হারালেও এবার কি হয় সেটা দেখার আছে। কেননা এবারের আসরে অন্যরকম এক ভুটানকেই দেখা যাচ্ছে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে চমক দেখিয়ে তারা সেমিতে এসেছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলেও পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে ভুটানি মেয়েরা। দলটি তাদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে আরও বড় চমক দেখায়। এবার তারা মালদ্বীপকে ১৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয়। নেপালের সমান ৭ পয়েন্ট পেলেও গোলগড়ে গ্রুপে দ্বিতীয় হয় ভুটান। যে কারণে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেমিতে মুখোমুখি হচ্ছে তারা। আসরে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো না হলেও গ্রুপ পর্বের শেষটা দারুণ হয়েছে। 
নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারতে হারতে বাংলার মেয়েরা ১-১ গোলে ড্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে। এরপর ভারতকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার ভুটানি মেয়েদের ফুটানি থামিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করার পালা সাবিনা-সানজিদা-তহুরাদের।

×