ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১

সহসভাপতি পদেও চার নতুন মুখ

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ

স্পোর্টস রিপোর্টার 

প্রকাশিত: ২১:১৮, ২৬ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ২১:২৬, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ

বাফুফের ইতিহাসে সভাপতি পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন তাবিথ

বহুল আলোচিত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ শনিবার। ভেন্যু ছিল রাজধানীর একটি পাঁ তারকা হোটেল। ভোট শুরুর আগে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। প্রত্যাশা অনুযায়ীই দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাফুফে পেয়েছে নতুন সভাপতি। তিনি তাবিথ আউয়াল। ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তাবিথকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন। ১২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন বাফুফের দু’বারের সাবেক সহসভাপতি তাবিথ। বাফুফের নির্বাচনে ইতিহাসে এটাই হচ্ছে সভাপতি পদে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্তির নজির। 

গত ২০২০ নির্বানে তাবিথ সহসভাপতি পদে হেরেছিলেন। এবারের নির্বাচনে তাবিথের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দিনাজপুরের ক্রীড়া সংগঠক এএফএম মিজানুর রহমান পান ৫ ভোট। আগেই সিনিয়র সহসভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ইমরুল হাসান। 

সহসভাপতি পদেও এসেছেন চার নতুন মুখ

চার সহসভাপতি পদেও এসেছে নতুন মুখ। তারা হলেন : নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (১১৫ ভোট), ওয়াহিদউদ্দীন চৌধুরী (১০৮), সাব্বির আহম্মেদ আরেফ (৯০) এবং ফাহাদ এ করিম (৮৭)।  হেরে গেছেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির (৬৬) এবং গত নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াই করা ও জাতীয় সাবেক ফুটবলার-কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক (৪২)। এবারের নির্বাচনে সবমিলিয়ে ২১টি পদের বিপরীতে ৪৬ প্রার্থী লড়াই কররছেন। 

এবারের বাফুফের নির্বাচনে আর ভোটার ছিলেন ১৩৩ কাউন্সিলর। তবে তাদের পাঁচ জন ভোট দিতে আসেননি। তাদের অন্যতম ছিলেন তরফদার মো। রুহুল আমিন, যিনি এবারের নির্বাচনে সিনিয়র সহসভাপতি পদে মনোনয়নপত্র কিনে পরে তা প্রত্যাহার করেন।  তাবিথ আউয়াল ২০১২ ও ২০১৬ সালে বাফুফের সহসভাপতি ছিলেন। আর মিজানুর হচ্ছেন দিনাজপুরের ফুটবল সংগঠক। অনেকের মতে পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে মিজানুরের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন তাবিথ। ফলে তার জয়লাভ করাটা বেশ সহজই হয়।

সিনিয়র সহসভাপতি পদে তরফদার রুহুল আমিন নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় মাঠ ফাঁকা হয়ে যায় ইমরুল হাসানের। বাফুফের আগের সহসভাপতি তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এবার ছিল নতুন ভোটারের ছড়াছড়ি। গত টানা চার নির্বাচনের ভোটারদের বেশিরভাগই ছিলেন না। আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর পাল্টে যায় বাফুফে নির্বাচনের ভোটার তালিকার চিত্রও। চূড়ান্ত হওয়া ১৩৩ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪২ জন সর্বশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোটার ছিলেন। বাকি ৯১ জনই এবার নতুন মুখ। যা মোট ভোটারের প্রায় ৬৯ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে আগের নির্বাচনগুলোর মতো কোন প্যানেল ছিল না। ফলে নির্র্বাচনের আকর্ষণও খানিকটা ম্লান হয়েছে। 
 

রুমেল/শহীদ

×