.
স্পিনার সাজিদ খানের (২৯.২-৪-১২৮-৬) দারুণ বোলিংয়ের পর সাউদ শাকিলের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের নিয়ন্ত্রণ এখন পাকিস্তানের হাতে। প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে ২৬৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ৩৪৪ রান করে পাকিস্তান। চাপের মুখে টেল এন্ডারদের নিয়ে ১৩৪ রানের অবিস্মরণীয় এক ইনিংস খেলেছেন শাকিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ২৪ রান নিয়ে শুক্রবার দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। ইনিংস হার এড়াতে এখনো ৫৩ রান চাই বেন স্টোকসদের। পাকিস্তানের সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে যখন, তাদের রান তখন কেবল ১৭৭, শাকিলের ৬৮। সেখান থেকে অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলে অষ্টম উইকেটে নুমান আলির সঙ্গে ৮৮ ও নবম উইকেটে সাজিদের সঙ্গে ৭৭ রানের দুটি জুটিতে পাকিস্তানকে সাড়ে তিনশ’র কাছাকাছি সংগ্রহ এনে দেন শাকিল।
টার্নিং উইকেটে স্কিল, টেম্পারামেন্ট, ধৈর্য ও মানসিকতা মিলিয়ে ২২৩ বলে ১৩৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। ৩৪৪ রান করে প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানের মূল্যবান লিড পায় পাকিস্তান। নোমান ৮৪ বলে ৪৫ ও সাজিদ ৪৮ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে অপরাজিত ৪৮ রান করেন। ১৬ রান নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নামেন শান মাসুদ ও শাকিল। অধিনায়ক শান মাসুদ (২৬) বিদায় নিলে মোহাম্মদ রিজওয়ান (২৫) শুরুটা করেন ভালো। শাকিলের সঙ্গে তার জুটি জমে উঠছিল যখন, তখনই ৫২ রানের জুটি ভাঙে রেহান আহমেদ। রেহান পরে দ্রুত বিদায় করে দেন সালমান আলি আগা ও আমের জামালকে। প্রথম সেশনে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে লিড পাওয়ার আশা জাগায় ইংলিশরা। তবে সফরকারীদের সেই আশা মাড়িয়ে, নুমানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নেন শাকিল। চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি ১৮১ বলে। দ্বিতীয় নতুন বলে নুমানকে এলবিডব্লিউ করে ১৫১ বল স্থায়ী জুটি ভাঙেন শোয়েব বশির। সাজিদ উইকেটে গিয়েই শুরু করেন আগ্রাসী ব্যাটিং। বশিরের একই ওভারে দুই ছক্কার সঙ্গে একটি চার মারেন তিনি। পেসার গাস অ্যাটকিনসনকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় শাকিলের ৫টি চারে গড়া ১৩৪ রানের চমৎকার ইনিংস।
আট মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে ৬৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার রেহান। দিনের শেষ ঘন্টায় ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় ইংল্যান্ড।